প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ সেপ্টেম্বর : তিহার জেলে বহুদিন কাটিয়ে জামিনে মুক্তি পওয়া অনুব্রত মণ্ডল’ এখন স্ব্যাস্থ্য সচেতন। ডায়েট কন্ট্রোলে’র বিষয়টি ‘সিরিয়াসলি ভাবে মেইনটেন’ ব্যাপারে তিনি কোন আপস করছেন না।আর এটা যে নিছক কথার কথা নয়,সেটা রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের প্রিয় খাবারের দোকান ল্যাংচা কঠিরে’র সামনে উপস্থিত থেকেই তিনি সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন ।
তিহার জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়ি ফিরে ষষ্ঠ দিনে অনুব্রত বোলপুর থেকে কলকাতার পথে রওনা হন। সঙ্গে ছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ও তাঁর বান্ধবী।পুলিশের পাইলট কার সহ মোট তিনটি গাড়ি ছিল অনুব্রতর সফরসঙ্গী।কলকাতা যাবার পথে এদিন সন্ধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি দাঁঁড়ায় শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুঠি নামের দোকানের সামনে। তবে গাড়ি থেকে নেমে তিনি তাঁর প্রিয় খাবারে দোকানে ঢোকেন নি। এমনকি ওই দোকানে তাঁর প্রিয় খহরেক রকম মিষ্টান্ন ও মুখোরচক খাবার থাকতেও তার কিছুই অনুব্রব মণ্ডল খান নি। বরং গাড়িতে বসে তিনি খেলেন শুধু,শশা দিয়ে মুড়ি আর মাটির ভাড়ে চিনি ছাড়া এক কাপ চা। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার খাবারে এহেন মেনু দেখে দোকানে উপস্থিত থাকা সকলেই কার্যত হতবাক হয়ে যান।
তিহার জেলে বহুদিন কাটিয়ে অনুব্রত মণ্ডল যে ’ডায়েট কন্ট্রোলে’ এতটা মনযোগী হবেন ভাবাই দায়। কারণ অনুব্রত মণ্ডল খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসেন সেটাই সবার জানা।আর তেমনটাইতো দেখা গিয়েছিল গত বছরেরষ ৭ মার্চ । গরু পাচার মামলায় আদালতের নির্দেশে ওইদিন কড়া পুলিশ পাহারায় বীরভূম থেকে দিল্লী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনুব্রত মণ্ডলকে।পথে জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ে গাড়ি দাঁড়ায় । সেদিনও একই খাবারের দোকানে জলখাবার খাওয়ার খেতে ঢুকেছিলেন অনুব্রত । ওইদিন তিনি চারটে ডালকচুরী,তরকারি,ছোলার ডাল, স্পেশাল ল্যাংচা ও রাজভোগ দিয়ে প্রাতরাশ সেরে ছিলেন। চাও খেয়েছিলেন । ভোজনে তিন অনুগামী তাঁর সাথী হয়েছিলেন। সবার খাবার খরচ ধরে সেদিন বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা।অনুব্রতর পি,এ সেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন’ । একই খাবারের দোকানে সেদিন আর এদিনের খাবারের মেনু’ই বলে দিচ্ছে অনুব্রত এখন তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন।তাই তিনি আহারে লাগাম টেনেছেন।
আধঘন্টারও বেশী সময় শক্তিগড়ের প্রিয় ল্যাংচার
দোকানের সামনে গাড়িতে বসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।কলকাতায় কেন যাচ্ছেন তা তখন তাঁকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্যই আমি মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা যাচ্ছি। বাড়িতে তো দুর্গাপুজো আছে,তাই চিকিৎসা করিয়েই তাতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবো।পরে দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে অনুব্রত মণ্ডল জানান ।রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনুব্রত বলেন,’ মারাত্মক বন্যা হয়েছে। মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। সব ঠিক হয়ে যাবে’।
বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি বহাল থাকা নিয়ে কেষ্ট মণ্ডল অবশ্য বেশ রক্ষণাত্মক। তিনি বলেন, আগেও ছিল কোর কমিটি। তখনও আমি জেলা সভাপতি ছিলাম। এখনো আমি জেলা সভাপতি। কোর কমিটি আছে।তবে শনিবার কাজল সেখের সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিষয় বস্তু নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন অনুব্রত।।