এইদিন ওয়েবডেস্ক,পুনে,০২ জুন : ২০১৯ সালের এসএসসি বোর্ডের অধীনে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে আসে বছর ১৬-এর এক কিশোরী । কিন্তু ওইদিন বিকেলে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় । অনেকে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার । কিন্তু বারবার সংশ্লিষ্ট থানায় দ্বারস্থ হলেও পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের কোনো আগ্রই দেখায়নি বলে অভিযোগ । শেষে মেয়েটির ভাই সম্প্রতি খবর পান এক মুসলিম ব্যক্তি তাকে অপহরণ করেছে । তাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছে । অবশেষে গত ১৬ মে মেয়েটিকে তার ভাই ও বন্ধুরা মিলে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় । ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পুনের।
মহারাষ্ট্রের তালুকা থানার অন্তর্গত মাঞ্চার থেকে সম্প্রতি লাভ জিহাদের শিকার ২১ বছর বয়সী ওই তরুনীকে উদ্ধার করা হয়েছে । দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মেয়েটির উপর এমন নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে যে সে ট্রমায় আক্রান্ত -কোনো পুরুষ দেখলেই ভয় পাচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে । ফিরে এসে তার উপর চালানো অমানবিক নির্যাতনের কাহিনী প্রকাশ্যে এনেছেন ওই তরুনী ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,তরুনী জানিয়েছেন অপহরণকারী ও তার পরিবার তাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত । তাকে মারধর ও গালাগালি করত,জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিত । কয়েক মাস ধরে একটা ঘরের মধ্যে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল । তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করত । সূত্রের খবর,মেয়েটিকে প্রায় ৬ মাস ধরে পতিতাবৃত্তির র্যাকেটে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,লাভ জিহাদের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনায় গত ২০ মে, মহারাষ্ট্র পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে এবং পুনে শহরের মাঞ্চারের বাসিন্দা জাভেদ শেখ (২২) নামে একজন মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে । তার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণ(৩৬৩),জোর করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করা,ধর্ষণ(৩৭৬) ছাড়াও পকসো আইনের ৪,৬,৮,১০ ধারায় মামলা রজু করেছে পুলিশ ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,জাভেদ শেখ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল এবং নিকাহনামায় মেয়েটির বয়স ১৮ এবং জাভেদ নিজের বয়স ২১ বছর বলে দাবি করেছিল । কিন্তু মেয়েটির আধার কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম ২০০২ সালে এবং অভিযুক্ত জাভেদের জন্ম ২০০১ সালে । সেই হিসাবে বিয়ের সময় মেয়েটির বয়স ১৮ । আর অভিযুক্তের বয়স মিথ্যাভাবে ২১ বছর দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার বয়স ছিল তখন মাত্র ১৯ বছর । ‘নিকাহনামা’তে আরও বলা হয়েছে যে বিয়ে করা দু’জন ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ এবং ধর্ম অনুসারে মুসলমান । অর্থাৎ এটি ইঙ্গিত দেয় যে মেয়েটিকে বিয়ের আগে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল ।
নির্যাতিতার ভাই অবিনাশ ওপি ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, তিনি তার বন্ধু, মা ও স্ত্রীর সাথে গত ১৬ মে তার দিদিকে উদ্ধার করেছেন । সে এখন বাড়িতে রয়েছে এবং নিরাপদে আছে । পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দাবি,শুধু জাভেদই নয়, তার গোটা পরিবারকে গ্রেফতার করা হোক । কারন তারা সকলে মিলেই মেয়েটির জীবন নষ্ট করে দিয়েছে ।।

