এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,০৪ অক্টোবর : সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবান অস্ত্রের জোরে আফগানিস্থানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ । বিশেষ করে ধর্মের নামে মেয়েদের উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানোয় চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ আফগানি মহিলারা । এই পরিস্থিতিতে সোমবার আফগানিস্তানের ঘোর (Ghor) প্রদেশের মারঘব(Marghab) জেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । তালিবানের জঙ্গিরা এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের অস্ত্র ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় । আর তারপরেই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তালিবান জঙ্গিদের উপর হামলা করে দেয় । শুরু হয় দু’পক্ষের তুমুল গুলির লড়াই । সূত্রের খবর,তালিবানরা এই জেলার বাসিন্দাদের নিরস্ত্র করতে পারেনি । সংঘর্ষের ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি । তালিবান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ।
অন্যদিকে শুক্রবার কাবুলের কাজ শিক্ষা কেন্দ্রে সাম্প্রতিক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫৩ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছিল । হতাহতদের অধিকাংশ ওই স্কুলের ছাত্রী । অনুমান করা হচ্ছে এই হামলার পিছনে তালিবানেরই হাত আছে । কারন তালিবান ষষ্ঠ শ্রেণীর উর্ধে মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করেছে । কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিয়া অধ্যুষিত ওই স্কুলে মাধ্যমিকের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল ।
এদিকে ওই হামলার প্রতিবাদে হেরাত ইউনিভার্সিটির (Herat University) বেশ কয়েকজন ছাত্রী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন । শিক্ষার্থীরা “পরিবর্তন গোষ্ঠীর জন্য আন্দোলন” (Movement Group for Change) নামে একটি গোষ্ঠী গড়ে তুলে কাজ শিক্ষা কেন্দ্রে হামলার প্রতিবাদে তালিবানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ।
আন্দোলনকারীরা হেরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে “জাতীয় নিপীড়ন” এবং কাজ ইনস্টিটিউটে শুক্রবারের হামলায় মেয়েদের বিরুদ্ধে সংঘটিত “অপরাধ” এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও স্লোগান দেয় ।
ছাত্রীরা স্লোগান দেয় “আমরা আলোকিত প্রজন্ম, আমরা মৌলবাদ মানি না”, “আমরা মরি, আমরা জন্ম নিই, নিপীড়নকে না বলি ।”
পশ্চিম কাবুলে সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়ে তালিবানকে “ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী” বলে অভিহিত করেছেন হেরাত ইউনিভার্সিটির আন্দোলনকারী ছাত্রীরা । প্রতিবাদী ছাত্রীদের মতে, তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুধু নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি,পরন্তু আইএসকেপি গ্রুপও বেড়েছে এবং দেশটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত,আগের দিন হেরাতি ছাত্রীদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য গুলি চালিয়েছিল তালিবানের সন্ত্রাসবাদীরা ।।