এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৬ এপ্রিল : আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের মেয়েকে বাড়িতে ডেকে এনে দিনের পর দিন ধরে যৌন হেনস্তার অভিযোগে প্রতিবেশী প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ভোম্বল মাজি (৬০) ওরফে সনৎ। তার বাড়ি কাটোয়ার কোশিগ্রামে। প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে শুধু যৌন নিগ্রহের অভিযোগই নয়,পাশাপাশি ঘটনার কথা কাউকে বললে মেয়েটিকে সে খুন করে দেবে বলে হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ । শুক্রবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে,নির্যাতিতা শিশুকন্যাটির পরিবার অত্যন্ত হতদরিদ্র । তার বাবা বাইরে শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছেন মা ও ঠাকুমা । তারা খেতমজুরের কাজ করেন । নাবালিকারা দুই ভাই ও এক বোন । অভিযুক্ত ভোম্বল নির্যাতিতা শিশুটির দূরসম্পর্কের পিসেমশাই হয় । ভোম্বলের স্ত্রী কাটোয়া শহরে পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়িতে পুত্র ও পুত্রবধূ নাতি রয়েছে। কিন্তু ছেলে সপরিবারে কয়েকদিন ধরে বেড়াতে গিয়েছেন। বাড়িতে একাই ছিল অভিযুক্ত ।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ,বিগত ৩ দিন ধরে আইসক্রিম কিনে দেওয়ার টোপ দিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল প্রৌঢ় ভোম্বল মাজি । বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সে শিশুটির উপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছিল । বৃহস্পতিবার বিকেলেও মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নির্যাতন চালায় ওই নরপশু ।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মেয়েটিকে ভোম্বলের বাড়ি থেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় । তারা বিষয়টি পরিবারকে জানায় । মেয়েটি বাড়ি ফিরলে তার মা ও ঠাকুমা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শেষে শিশুটি ঘটনার কথা সব খুলে বলে। শিশুটি জানায় আইসক্রিম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি তাকে হুমকি দেওয়া হয় এসব কথা বাড়িতে জানালে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে আসাবে ।
শিশুটির মুখ থেকে ঘটনার কথা শুনেই তাকে কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়৷ কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয় । এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি । এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।।

