বিশ্বরূপ অধিকারীঃ বহরমপুর,১৬ নভেম্বর ঃ ছেলের দেহ ফেলে রেখে হাসপাতালে ভোট দিতে গিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে রেনুকা মার্ডি। সোমবার ভাইফোটা দিনে রেনুকা মার্ডি কাছে ভাইফোটা নিলেন লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোট নিজে দেওয়া জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশাসন। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের চতুর্থ দফা দিনে ছেলের মৃত্যু হলেও হাসপাতালে দেহ রেখে নিজের ভোট দিতে যান মা রেনুকা মার্ডি। কারন বহরমপুর কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী কাছে কৃতজ্ঞতা, তাই অধীর চৌধুরী কে ভোট দিতে যাবেন বলে নিজের সন্তানের দেহ ফেলে রেখে ভোট দিয়েছিলেন মা রেনুকা মার্ডি । অধীর চৌধুরী এখন লোকসভা কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা তাই বহরমপুরে ভাইফোটা দিনে বোন রেনুকা মার্ডি কাছে ফোটা নিলেন দাদা অধীর চৌধুরী ।
চতুর্থ দফা নির্বাচনের সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন রজত মার্ডি (২১)। মা রেনুকা মার্ডি প্রথমে ভোট দিতে যান কিন্তু লম্বা লাইন দেখে বাড়ি ফিরে যান এবং বাড়ি ফিরে দেখেন তার বড় সন্তান রজত মার্ডি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রজত মার্ডি বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বেশ কিছু দিন ধরে মানষিক অবসাদ ভুগছিলেন এবং আগেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ছিলেন। রজতের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মা রেনুকা মার্ডি শ্রী গুরু পাঠশালা ভোট দিতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার কে অনুরোধ করেন তাকে যেন তাড়াতাড়ি ভোট দিতে দেওয়া হয়। দেহ ময়না তদন্তে যেতেই নিজে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে শোকাহত হন মা তার সন্তান মৃত্যুতে। নিজের গনতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে এই রকম কান্ড দেখে অবাক হন সবাই।
এই ঘটনার খবর পেয়ে নির্বাচন পরের দিন সমবেদনা জানাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী । পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অধীর চৌধুরী। গত এক বছর আগে পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসবে রাখী পরে বোনের আশির্বাদ নেন দাদা অধীর চৌধুরী। এবার ভাইফোটা দিনেও ফোটা নিলেন দাদা অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী জানান, আমি একটা ভোটে যদি হেরে যায় তাই আমাকে নিজের ছেলের দেহ ফেলে রেখে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ভাইফোটা দিনে বোন রেনুকা মার্ডি কাছে নিলেন এবং আগামী দিনে পরিবারের পাশে থাকব বলে জানান তিনি।