এইদিন বিনোদন ডেস্ক,২৭ এপ্রিল : গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্য়ালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার । পয়লা মে-এর মধ্যে সকলকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাকিস্তানিদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে গিয়ে আটারি ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছে দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী । এই পরিস্থিতিতে নির্বাসনের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের হিন্দু যুবক শচীন মীনাকে বিয়ে করা চার সন্তানের জননী পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার । ভারতে আসার পর শচীনের ঔরসজাত সন্তানের জন্মও দিয়েছেন ওই মহিলা । মহিলা তাকে নির্বাসন না করার জন্য কেন্দ্র ও ইউপি সরকারের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন । সীমা হায়দারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বলিউডের হট আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত ।সম্প্রতি রাখি সাওয়ান্ত তাঁর ইনস্টাগ্রাম পৃষ্ঠায় একটি ভিডিও আপলোড করে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন,’সীমা হায়দার তো ভারতের বউমা, ওকে এদেশে থাকতে দিন। ওকে পাকিস্তানে দয়া করে পাঠাবেন না। নারীর উপর একটু দয়া করুন। এতে অন্যান্য দেশের কাছে ভারতের সম্মান বাড়বে।’
প্রসঙ্গত,পাবজি খেলার সময় শচীনের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয় পাকিস্তানি বধূ সীমা হায়দারের । ২০২৩ সালে চার সন্তান নিয়ে দুবাই থেকে নেপালে আসেন তিনি ।নেপালের মন্দিরেই হিন্দু রীতি মেনে তাদের বিয়ে হয় । তারপর নেপাল থেকে বেআইনি ভারতে চলে আসেন।
একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কাতর আবেদন জানিয়ে সীমা হায়দার বলেছেন, ‘মোদীজি দয়া করে আমাকে পাকিস্তানে পাঠাবেন না । আমি পাকিস্তানের মেয়ে কিন্তু এখন ভারতের পুত্রবধূ, আমাকে এখানে থাকতে দিন । আমি পাকিস্তানে যেতে চাই না। শচীন মীনাকে বিয়ে করার পর আমি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছি ।’ কিন্তু শচীনকে বিয়ে করার জন্য পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা সীমা হায়দারকে নির্বাসনের আশঙ্কা এখনো থেকে গেছে৷।