এইদিন বিনোদন ডেস্ক,০৭ ফেব্রুয়ারী : হঠাৎ বলিপাড়া সরগরম হয়ে ওঠে সাইফ আলি খানের ওপর হত্যার চেষ্টার ঘটনায়। গত ১৫ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় এখনও হিসাবের সমীকরণ থামছে না। ভেসে আসছে নতুন নতুন তথ্য। সম্প্রতি এক অভিনেতার দাবি সেদিনকার ঘটনা ছিল নিছক সাজানো নাটক। যার নেপথ্যকারী সাইফপত্নী কারিনা নিজেই! পাঁচ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে যখন সাইফকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তার চেহারা দেখে চমকে ওঠেন সকলে। হাতের কব্জি ও ঘাড়ের কাছে ব্যান্ডেজ ছাড়া সারা শরীরে ক্ষতের কোনো চিহ্ন নেই। চোখে-মুখে উজ্জ্বলতা দেখে সন্দেহের দানা বাঁধে অনেকের মনে। কেউ কেউ এই ঘটনাকে সাজানো বলেও অভিহিত করেন! এবার সাইফকাণ্ডে চুরির ঘটনা সব সাজানো বলে দাবি করেছেন এক অভিনেতা। তিনি জানান নেপথ্যে রয়েছেন বেগম কারিনা কাপুর খানই!
বলিউডে ছোট-বড় যে কোনো বিষয় নিয়ে প্রায়ই মতপ্রকাশ করে থাকেন অভিনেতা তথা স্বঘোষিত চিত্র সমালোচক কমল আর খান। নিজের এই কথার জন্য একাধিকবার আইনি বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়েছে কমল আর খানকে। এবার সাইফকে মাত্র পাঁচ দিনে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
কমলের কথায়, ‘সাইফকে ছয় বার ছুরি দিয়ে কোপানো হলো আর হামলাকারীকে একটা আঁচড় পর্যন্ত দেননি সাইফ! যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তি মুখেরও কোনো মিল নেই। তাই আমার মনে হয় সে রাতে ওদের বাড়িতে কেউ আসেনি, আর এটা সাইফ-কারিনার ঝগড়ার পরিণতি।’ যদিও কমলের এই দাবি কেউ বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। উলটো তাকে নিয়ে অনেকের মত- শুধু দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাইফ বলেছিলেন, ‘হামলার দিন ১১ তলার বেডরুমে আমি আর আমার স্ত্রী (বলিউড অভিনেত্রী) কারিনা কাপুর ঘুমিয়ে ছিলাম। ছোট ছেলে জেহ ও পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপসের চিৎকারে আমরা জেগে উঠি।’সাইফ আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও তাদের পরিচারিকা ১২তলায় থাকে। আমি ইলিয়ামার চিৎকার শুনে ১১তলা থেকে ১২তলায় ছুটে গিয়ে দেখি, অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলছে। তখন আমি ইলিয়ামাকে বাঁচাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধরে ফেলি। তখন সে আমার হাত থেকে বাঁচতে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে।’ সে রাতের কথা মনে করে সাইফ বলেন, মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ১২তলায় বেয়ে উঠেছিল ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কিন্তু ধরা পড়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে শুরু করে।’ সাইফ বলেন, আমাকে রক্তাত অবস্থায় দেখে কারিনা ও দুই ছেলে ঘাবড়ে যায়। সে সময় হামলাকারীকে ধরে পাশের একটি রুমে বন্দিও করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।’
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে ।
হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচদিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফেরেন সাইফ।।

