এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১৭ সেপ্টেম্বর : আজ ৭৫ তম জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর । মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প,ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ তাবড় দেশের রাষ্ট্র নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । এই শুভেচ্ছার সিরিজে নজর কেড়েছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান । তিনি প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনের শুভেচ্ছার পাশাপাশি দেশের জন্য তাঁর উন্নয়নমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন সেই সময় এই আমির খান সস্ত্রীক রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন যে দেশে অসহিষ্ণুতা খুব বেড়ে গেছে, খুব অনিরাপদ বোধ করছি৷ এমনকি তার স্ত্রী কিরণ রাও খান তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশ ছাড়ার কথা বলেছিলেন । ফলে আজ প্রধানমন্ত্রীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তার পরে ট্রোল হচ্ছেন এই বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ।
অভিনেতা আমির খানের ভিডিও বার্তাটি এক্স-এ শেয়ার করে শীতল চোপড়া নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যারা একসময় ভারতে থাকতে অনিরাপদ বোধ করতেন, তারা এখন কপালে টিকা পরে একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী ও ক্ষমাহীন সনাতনী নরেন্দ্র মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ইয়েহি হ্যায় আছে দিন ।’ ভিডিওতে আমির খানকে বলতে শোনা গেছে, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি ৭৫ বছরের জন্মদিনে ওনাকে প্রচুর শুভকামনা, উইশিং ইউ ভেরি হ্যাপি বার্থ ডে, স্যর । আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যে কাজ আপনি করেছেন, সর্বদায় তা স্মরণ করা হবে । আরে খুশির মুহূর্তে ওপরবালা কাছে আমার প্রার্থনা হল যে দীর্ঘ আয়ু দিন । আমি এটাও প্রার্থনা করছি ওপরবালা আপনাকে শক্তি দিন, যাতে আপনি ভারতকে সর্বদা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারেন,প্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পারেন । একবার ফের, প্রচুর শুভকামনা ।” এই ভিডিও বার্তা রেকর্ড করার সময় আমির খানকে কপালে লাল টিলা পরা অবস্থায় দেখা গেছে ।
প্রসঙ্গত,২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নরেন্দ্র মোদী । পরের বছর নভেম্বর মাসের শেষের দিকে নিজের ৫০তম জন্মদিনে স্ত্রী কিরণ রাও খানসহ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমির খান বলেছিলেন, “এ দেশে থাকতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি।” শুধু এতেই থেমে থাকেননি আমির । তিনি আরও বলেছিলেন, “ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার এই পরিবেশে দেশ ছাড়তে চাইছেন তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও।” আমিরের দাবি, এই প্রথম এ ধরনের কথা বলছেন কিরণ। নিজের সন্তানদের নিরপত্তা নিয়েও ভয় পাচ্ছেন তারা দু’জন ।
আমিরে কথায়, “কেউ হিংসার আশ্রয় নিলেই আমরা প্রথম যে ভুলটা করি তা হল, তার সঙ্গে একটা ধর্মীয় লেবেল সেঁটে দেওয়া। হয় সে হিন্দু নয় মুসলিম সন্ত্রাসবাদী।”
যদিও তার এই মন্তব্যের পর তুমুল সমালোচনার শিকার হলে দিন দুয়েক পরে ফেসবুকে অফিসিয়াল ফ্যান পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছিলেন,’প্রথমেই একটা ব্যাপার পরিষ্কার করতে চাই আমি এবং আমার স্ত্রী কারোরই দেশ ছাড়ার ইচ্ছা নেই। বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। একজন ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত এবং সেই গর্ব করার জন্য আমি কারো উপদেশ অথবা আদেশের আজ্ঞাবহ নই।’তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘অনেকেই আমার বিরুদ্ধে ভুল ধারণা পোষণ করছেন এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। আমি কি বলেছি তা আমার দেওয়া ইন্টারভিউটিতে এখনো রেকর্ড আছে। তাই সবাইকে আহ্বান করবো সেটি আরেকবার দেখে নিতে।’তিনি আরো বলেন, ‘যারা ভুল বোঝাবুঝির এই দুঃসময়ে আমার পাশে ছিলেন, আমাকে সাহস যুগিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।’।

