প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ মে : নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে দশ বছর বয়সী এক নাবালিককে তিনবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক। ধৃতের নাম শৌভিক দাস ওরফে বুবাই। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার শিয়ালি গ্রামের দাসপাড়ায় ।নাবালিকার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে সোমবার পকসে আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।এই ঘটনা জানাজানি হতেই নিন্দায় সরব হন শিয়ালি গ্রামে মানুষজন ।
জামালপুর থানার জ্যোৎশ্রীরাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম শিয়ালি।গ্রামের চারপাশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন খেত জমি ।পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ি শিয়ালি গ্রামেই বছর।কয়েকদিন আগে ওই গ্রামে কালীপুজো ছিল ।সেই উপলক্ষ্যে ওই এদিন ভোর ৫টা নাগাদ নাবালিকা গ্রামের কালীমন্দিরে যায়।শৌভিক তখন সেখানেই ছিল।নাবালিকাকে দেখতে পেয়েই শৌভিক তার কাছে যায় । ভয় দেখিয়ে শৌভিক নাবালিকাকে গ্রামের নির্জন জায়গায় থাকা একটি সাঁকোর কাছে নিয়ে যায় ।
নাবালিকাকে সাঁকোর কাছে নিয়ে গিয়ে শৌভিক জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । নাবালিকা চিৎকার করলে যুবক শৌভিক তার গলা টিপে ধরে এরপর নাবালিকাকে নিয়ে খানিকটা দূরে বাদামবাড়িতে যায় শৌভিক। সেখানে সে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর আরও খানিকটা দূরের ধঞ্চে খেতে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে ফের শৌভিক ধর্ষণ করে।নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য নাবালিকা সেখানে উচ্চস্বরে চিৎকার করলে শৌভিক তার গলা টিপে ধরে । তখন নাবালিকা সংজ্ঞা হারায়। তা দেখে নাবালিকাকে ওই একা ফেলে রেখে অভিযুক্ত শৌভিক পালায় ।
জ্ঞান ফিরলে শরীরে কাদা মাখা অবস্থায় বাড়ি ফেরে নাবালিকা। সে তাঁর পরিবারের লোকজনকে শৌভিকের কুকীর্তির কথা সব খুলে বলে। এরপরই নাবালিকার মা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬এবি এবং পকসো অ্যাক্টের ৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা। রবিবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । পালাপাশি পুলিশ ঘটনার দিন নাবালিকার পরনে থাকা পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে ।অভিযুক্ত যুবকের কঠোর সাজার দাবী করেছে নাবালিকার পরিবার ও শিয়ালি গ্রামের বাসিন্দারা ।।