এইদিন ওয়েবডেস্ক,হলদওয়ানি(উত্তরাখণ্ড),০৬ জুলাই : এইচআইভি (এইডস) সংক্রমণ গোপন রেখে বিয়ে করে সুস্থ তরুনীকে অসুস্থ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে । সম্প্রতি তরুনী হাসপাতালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে তার এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এরপর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানান ওই তরুনী । উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির ভানভুলপুরার ঘটনা ।
নির্যাতিতা তার অভিযোগে পুলিশকে জানায়, ২০২০ সালের ১০ জুন একই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরের বছর ৩১ জুলাই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাড়িতে ডেলিভারি করা, কিন্তু শিশুটির একটি সংক্রমণ হয় এবং তিন মাস পরে মারা যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে অসুস্থতার সময় চিকিৎসা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। এই সময় তার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় যে সে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গেছে । পরে তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী ইতিমধ্যেই এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন, যিনি স্থানীয় এক চিকিৎসকের অধীনে তার চিকিৎসাও চলছে । ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বিয়ের সময় বিষয়টি তার কাছে গোপন করা হয়েছিল।
ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন যে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে হয়রানি করতে শুরু করে এবং ৫ লাখ টাকা ও একটি দামি গাড়ি দাবি করে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০২২ সালে যখন তিনি আবার গর্ভবতী হন, তখন তার ননদাই জ্বরের ওষুধ দেওয়ার নাম করে তাকে গর্ভপাতের বড়ি দেন, যার ফলে তার গর্ভপাত হয়। গত ৩ জুলাই রাতে তার স্বামী, ননদ, ননদাই ও শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর করে। তিনি ওই চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মারধর, বধূ নির্যাতনসহ একাধিক ধারায় মামলা রজু করেছেন ।।