এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইন্দোর(মধ্যপ্রদেশ),০৩ অক্টোবর : মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ভানওয়ারকুয়ান ও খাজরানা এলাকায় গরবা অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে পুলিশ । আসলে ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন । বজরং দলের অভিযোগ, গরবা উদযপনের আড়ালে লাভ জিহাদে’ ইন্ধন জোগাচ্ছে ওই ব্যক্তি । আসলে শহরের দুটি বড় গরবা প্যান্ডেলে মায়ের মূর্তির পোশাক নিয়ে আপত্তি তুলেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। কারন দেবীর মস্তক ঢাকা হয়েছে বোরখার মত কালো পোশাক দিয়ে । সংগঠনগুলির অভিযোগ যে লাভ জিহাদে উৎসাহ দিতেই দেবীমূর্তির সঙ্গে এহেন ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে । তারা এটাকে ধর্ম অবমাননা মনে করে হিন্দু খাজরানা থানায় পৌঁছে মূর্তির ভাস্করের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় ।
বজরং দলের কর্মীরা পুলিশকে জানায় যে আয়োজক কমিটির কিছু সদস্য ধর্মীয় ঐক্যের আড়ালে লাভ জিহাদ প্রচারের লক্ষ্য নিয়েছে । ঘটনার পর, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠান বাতিল করে এবং অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাঁবু ও পোস্টার সরিয়ে নেয় ।খাজরানা থানার টিআই মনোজ সেনধভ বলেছেন যে মূর্তিটি তৈরি করছিলেন মালব্য নগরের বাসিন্দা লাকি চৌহান, এবং পুলিশ লাকি ও ফিরোজ খান, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। হিন্দু সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
হিন্দুত্ববাদী নেতা রাম ডাঙ্গি এবং অন্যান্য বজরং দলের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন যে ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি গত কয়েক বছর ধরে শিখর গরবা মণ্ডল নামে ভাবনা নগরে অনুষ্ঠানের আয়োজন কর আসছেন। ডাঙ্গি প্রশ্ন করেন যে মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী নয় এমন লোকেরা কীভাবে গরবার মতো ধর্মীয় আচারের আয়োজন করতে পারে ? বজরং দল ইতিমধ্যেই ২৪ শে সেপ্টেম্বর এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে সতর্ক করেছিল, এবং বিতর্ক এড়াতে পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অনুষ্ঠানটি বাতিল ঘোষণা করে দেয় ।
দেবী মায়ের মূর্তিকে বোরখা পরানোর ঘটনা খাজরানা ও ভানওয়ারকুয়ান উভয় জায়গাতেই ঘটেছে । দু’জায়গাতেই গরবার আয়োজক ছিলেন ফিরোজ খান । দুটি ঘটনার পরই পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলো। উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।।