এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২১ ফেব্রুয়ারী : বেঙ্গালুরুর হেগড়ে নগরের জামিয়া আয়েশা সিদ্দিকী আল বানাত মাদ্রাসায় ছাত্রীদের উপর হামলা ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে৷ অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান আলী ছাত্রীদের অফিসে ডেকে অন্যায় করার অভিযোগ এনে তারা তাকে মারধর করে। পুরো ঘটনাটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায় । শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান, যিনি নিজেও অধ্যক্ষের ভাই, তিনি মেয়েদের চুল টেনে ধরে, তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন করেন। তিনি মেয়েদের আঙ্গুল ও হাত মুচড়ে দেন এবং গালে থাপ্পড় মারেন। বাকি শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ নীরবে দর্শকের ভুমিকায় থাকেন। ভুক্তভোগী মেয়েদের বাবা-মা অভিযুক্ত মোহাম্মদ হাসান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির পাশাপাশি নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে মাদ্রাসার সামনে বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে কমিশনার, এসিপি এবং ডিসিপির কাছে মেইল পাঠিয়েছেন অভিভাবকরা। এরপর পুলিশ মামলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। বেঙ্গালুরুর হেগড়ে নগরের কোথানুর পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) ১১৫ (স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা) এবং জেজে আইনের ৭৫ (শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ভাই। বর্তমানে কোথানুর পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে, শিশু কল্যাণ কমিটি বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি লিখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অবিভাবকরা ।
ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অভিযুক্ত এবং তার দাদার বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্থানের অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, অভিযুক্তরা মেয়েদের যৌন নির্যাতন করেছে। এবং বিষয়টি চেপে দেওয়ার জন্য তাদের হুমকিও দেওয়া হয়। ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ভুক্তভোগী মেয়েসহ মাদ্রাসায় পড়ুয়া সকল মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে।।