প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ বর্ধমান : স্বামী বা স্ত্রীর কেউ মারা যাননি । সুস্থ শরীর নিয়ে তাঁরা দিব্যি সংসার জীবন কাটাচ্ছেন। অথচ ভূমি দফতরের রেকর্ডে মৃত বনে গিয়েছেন দম্পতি । শুধু মৃত বানিয়ে দেওয়াই নয়।দম্পতিকে মৃত দেখিয়ে তাঁদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে গুনধর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে । এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর জাহান্নগর গ্রামে। সম্পত্তি ফিরে পেতে নাদনঘাট থানা এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছেন দম্পতি। জীবিতকে মৃত দেখানো ভূয়ো নথিপত্র দিয়ে জাল দলিল বানিয়েই এই জালিয়াতি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন দম্পত্তি । ভিন রাজ্যে থাকার সুযোগ নিয়ে এক দম্পতিকে মৃত দেখিয়ে তাদের নামে থাকা কয়েক শতক জায়গা জালিয়াতি করে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী দম্পতির বিরুদ্ধে। ওই সম্পত্তির উপর বাড়িতে থাকা দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে হুমকি দিয়ে উচ্ছেদ করে দখল নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ৷
প্রতাড়িত দম্পতি গোপী দে ও হরিবালা দে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর গ্রামে আদি বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তাঁরা এখন রাজস্থানে থাকেন। হরিবালা দেবী বুধবার জানান,তাঁর বাবা ঠাকুরদাস দাস বসত ভিটার ১০ শতক জায়গা ২০১৫ সালে তাঁর নামে এবং তাঁর স্বামীর নামে দানপত্র দলিল করে দেন। যদিও ওই জায়গায় থাকা বাড়িতে এখনও তাঁর বৃদ্ধ বাবা থাকেন। কিন্তু তাঁদের প্রতিবেশী সমাপ্তি শীল(দাস) তার স্বামী সুশান্ত দাস ২০২২ সালে জাল দলিল তৈরী করে তাঁদের ওই সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় । জাল দলিল ব্যবহার করে ওই সম্পত্তি নিজেদের নামে রেকর্ডও করিয়ে নেন সমাপ্তি শীল(দাস) তার স্বামী সুশান্ত দাস। হরিবালা দেবী জানান , জাল দলিলে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে ।কিছুদিন আগে ব্লক ভূমি দফতরে অফিসে খাজনা জমা দিতে গিয়ে তাঁর বাবা ঠাকুরদাস দাস এই জালিয়াতি কাণ্ডের বিষয়ে জানতে পারেন । তার পরেই তাঁরা গোটা ঘটনা বিষয়ে ব্লক ভূমী দফতর ও নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন।’যদিও সুশান্ত দাসের স্ত্রী সমাপ্তিদেবী সাফাই ,’তাঁরা এমন কাজ নাকি করেনইনি ।
কালনার মহকুমাশাসক (এসডিও) শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন,অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ব্লকের বিডিও ও বিএলআরওকে যৌথভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রতাড়িত দম্পতি জানিয়েছেন ,“এই জালিয়াতির বিষয়ে প্রশাসন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।।