এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম,৩১ জানুয়ারী : কন্যাসন্তান প্রসবের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় । তাই হাসপাতালেই যাতে পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয় তার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে আবেদন জানিয়েছিলেন কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের গৃহবধূ বুল্টি খাতুন । তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতে কেতুগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে টেট পরীক্ষার ব্যাবস্থা করল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ।
কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা বুল্টি খাতুন বাংলায় এমএ অনার্স পাশ । ২০১৪ সালে তাঁর বিয়ে হয় । তাঁর স্বামী আজিজুর মীর বিএসএফে কর্মরত । তাঁদের সাড়ে পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে । এছাড়া শনিবার কান্দরা রামজীবনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । বর্তমানে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন বুল্টি ।
এবারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট(টেট) পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন বুল্টি খাতুন । রবিবার ছিল টেটের পরীক্ষা । বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুলে সিট পড়েছিল তাঁর ।কেতুগ্রাম থেকে দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার । এই দেখে স্বামী আজিজুর মীরের পরামর্শে পর্ষদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে হাসপাতালেই যাতে পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয় তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বুল্টি খাতুন ।
জানা গেছে,বিষয়টি জানতে পেরে কান্দরা রামজীবনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ওই বধুর পরীক্ষার ব্যাবস্থা করার নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য । নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা আগেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চলে আসে । আসেন কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের দুই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও । তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি পৃথক ঘরে ওই বধুর পরীক্ষার ব্যাবস্থা করেন । তারপর কড়া পুলিশি প্রহরায় টেট পরীক্ষা দেন ওই গৃহবধু । হাসপাতালেই চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় পর্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বধু ও তাঁর স্বামী ।।