এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুজাফফরনগর,১১ এপ্রিল : কঠোর আইন না থাকা এবং তথাকথিত সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন মেলায় “লাভ জিহাদ” একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে দেশে । উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলা থেকে ফের “লাভ জিহাদ”-এর ঘটনা সামনে এসেছে । মুজাফফরনগর জেলার বুধনা থানা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল সালাম নামে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে নিজেকে “অজয়” পরিচয় দিয়ে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল । তাকে গোমাংস খেতে বাধ্য করা হয় । এমনকি আব্দুল সালাম নামে ওই যুবক ও তার বাবা ইদ্রিস, ভাই আসিফ এবং আমিল, মামা এবং দুই ভগ্নিপতি একে একে তাকে ধর্ষণ করেছিল । পুলিশ আব্দুল সালাম,তার বাবা, দুই ভাই,দুই ভগ্নিপতিসহ পরিবারের ৬ জন সদস্য ছাড়াও ২ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে আব্দুল সালামকে গ্রেফতার করেছে।
সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২৬ বছর বয়স্ক নির্যাতিতা তরুনীর বাড়ি নেপালের কপিলবাস্তু জেলায় । অন্যদিকে লাভ জিহাদি আব্দুল সালামের মুজাফফরনগরের বুধনা থানা এলাকার জৌলা নামে একটি গ্রামে বাড়ি । নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে তিনি ২০১৫ সাল থেকে দক্ষিণ দিল্লির সুলতানপুরে বসবাস করছেন। সেই সময় সে নাবালিকা ছিল। এখানেই আবদুল সালামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে নিজেকে হিন্দু এবং তার নাম অজয় বলে পরিচয় দিয়েছিল ।
নির্যাতিতা জানান, অজয় তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং প্রেমের ভান করতে থাকে। পরে বিয়ের অজুহাতে নাবালিকা থাকা অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। অন্য দেশ থেকে এসে একা থাকার কারণে ভুক্তভোগী অজয় হওয়ার ভান করা আবদুল সালামের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতে পারেনি। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আব্দুল সালাম তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।নির্যাতিতা আরও জানান, বারবার ধর্ষণের কারণে সে বেশ কয়েকবার অন্তঃসত্ত্বা হলেও প্রতিবারই আব্দুল তার গর্ভপাত করিয়ে দেয়। নির্যাতিতা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে, আব্দুল সালাম তাকে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট দিল্লির একটি আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন। এই বিয়েতে তাকে একটা খালি কাগজে সই করানো হয়। ২০২১ সালে তিনি একটি কন্যা সন্তানের মা হন।
নির্যাতিতা জানায়, যখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন সে জানতে পারে অজয় আসলে আব্দুল সালাম এবং সে হিন্দু নয় বরঞ্চ সে একজন মুসলিম। এরপর আব্দুল সালাম তাকে ও তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করর এবং মুখ বন্ধ রাখতে বলে । মেয়ের জন্মের সাত মাস পর আব্দুল সালাম নির্যাতিতাকে প্রথমবার নিজ গ্রামে নিয়ে যায় । সেখানে আবদুল ছাড়াও তার বাবা ইদ্রিস, ভাই আসিফ এবং আমিল, মামা এবং দুই ভগ্নিপতি মিলে একে একে তাকে ধর্ষণ করে । প্রতিবাদ করলে নির্যাতিতা ও তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর এসব আবদুল ও তার পরিবার তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাকে জোর করে গোমাংস খাওয়ানো হয়।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে সালের নভেম্বর থেকে, আব্দুল সালাম তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে । পরে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে আবদুল অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে এবং সে বেশিরভাগ সময় গ্রামেই থাকতে শুরু করেছে। তখন তিনি আবদুলের গ্রামে তদন্ত করতে গেলে সেখানে তাকে মারধর করা হয়। বাধ্য হয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ওই মুসলিম যুবকের প্রতারণার কথা তুলে ধরেন ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,ভিডিওটি হিন্দু সংগঠনগুলির নজরে পড়লে তারা ওই তরুনীর সঙ্গে দেখা করেন । নির্যাতিতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে আব্দুল সালাম, ইদ্রিস, আসিফ, আমিল, আব্দুল, শমসের নামে অপর দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় । নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে লাভ জিহাদি আবদুল সালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সালাম ও বাকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪৯৩, ৪৯৪,৪১৯,৩৭৬,৩১৩,৫০৪ এবং ৫০৬ ধারা ছাড়াও পকসো আইন এবং উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরকরণ আইন ২০২১-এর অধীনে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে । পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ।।