এইদিন ওয়েবডেস্ক,মহিষাদল(পূর্ব মেদিনীপুর),০৮ ফেব্রুয়ারী : ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফলাফলের নিরিখে অর্ধশতক আসন ছুঁতে চলেছে বিজেপি । দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয় রাজধানীর ক্ষমতায় আসতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই অভাবনীয় সাফল্যে দেশজুড়ে বিজেপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । দিল্লিতে এই সাফল্যে উৎফুল্ল এ রাজ্যের বিজেপির নেতারাও । ‘দিল্লী কা জিৎ হামারি হ্যায়, ২৬ মে বাঙ্গাল কি বারি হ্যায়’ স্লোগান তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই ফেললেন,’আপ গেছে এবারে মমতা পাপকে বিদায় করার পালা ।’

আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল বিধানসভার দেউলপোতা অঞ্চলের বাড়বাসুদেবপুর ২৩৭ নম্বর বুথে জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তারই ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় দিল্লির এই অভাবনীয় ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,’দিল্লী কা জিৎ হামারি হ্যায়, ২৬ মে বাঙ্গাল কি বারি হ্যায় ।’ তিনি বলেন,’দিল্লির বাঙালি ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গের দূর্দশা দেখে পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গে বেকারদের যে কঠিন দুরাবস্থা, আর জি করের মহিলাদের চোখের জল, সর্বোপরি দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে সরস্বতী পূজার ঠাকুর ভাঙ্গা আর পূজা বন্ধ, মা সরস্বতীর অপমান দিল্লির বাঙালিরা শুদে আসলে তার প্রতিশোধ নিয়েছে । মা সরস্বতী পুজো যারা বন্ধ করেছে দিল্লির বাঙালিরা একজোট হয়ে তাদেরকে হারানোর কাজটা করেছে ।’ তিনি বলেন ‘বিহারে তো ঝড়ে জিতবো । আসাম তো জিতেই আছে । এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ । আপ গেছে এবারে মমতা পাপ কে বিদায় করা ।’
কেজরিওয়ালকে ‘ভ্রষ্টাচারী’ ও ‘চিটিংবাজ’ বলে অভিহিত করে তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’চোরে চোরে মাসতুতো ভাই । সেই কারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেজরিওয়ালকে জেতানোর জন্য । শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাঠিয়েছিল ৷ আরো কেউ কেউ গোপনে গিয়েছিল । তাই এই হার শুধু আপের নয়, তৃণমূলেরও হার । তৃণমূল এই নির্বাচনের আগে আপের সমর্থনে গিয়েছিল। তাই পরিবার বাদী, দুর্নীতিগ্রস্ত তোষণবাজ পার্টিকে দিল্লির মানুষ রিজেক্ট করেছে ।’ দিল্লির জয় কে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর উপর মানুষের আস্থার জয় বলে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন,’যে হিন্দু সনাতনীরা ভোট দিতে বের হতেন না তারা মহারাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে বিপদ বুঝে ভোট দিতে বেরুচ্ছেন । সেই কারণেই জয় সুনিশ্চিত হয়েছে । মহারাষ্ট্রের ২০১৯ সালে ৬১% ভোট ছিল । কিন্তু এবার ৬৩.৫% ভোট পড়েছে । থেকে কিভাবে ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট বেড়েছে দিল্লিতে । বাড়ি থেকে বেরিয়ে হিন্দুরা ভোট দিয়েছেন । সঙ্গে সর্দারজিরাও আমাদের ভোট দিয়েছেন ।’ শুভেন্দুর দাবি,’পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যা প্রভৃতি পূর্বাঞ্চলের ভোটারদের দিল্লির ২৯ বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল । এই ২৯ টা আসনের মধ্যে ২০ টাতেই ভারতীয় জনতা পার্টি জিতেছে । দিল্লী কা জিৎ হামারি হ্যায়, ২৬ মে বাঙ্গাল কি বারি হ্যায়৷’।

