এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৭ জানুয়ারী : ‘লাভ জিহাদ’-এর মত গুরুতর মামলায় গ্রেফতার হয়েছে আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রাক্তন জেলা সভাপতি মাহমুদ খান। জয়সিংপুর কোতোয়ালি এলাকার এক হিন্দু তরুণী মাহমুদ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। নির্যাতিতা জানায় যে মাহমুদ খান,নিজেকে সোনু বলে পরিচয় দিয়ে তার সাথে বন্ধুত্ব করে এবং তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌন শোষণ করে। খবরে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে মাহমুদ খান তার নাম সোনু বলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। গত ২০ আগস্ট, তিনি কালেক্টরেটের অভিযুক্তের সাথে দেখা করতে আসেন, সেখান থেকে তাকে শহরের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাহমুদ শুধু ধর্ষণই করেননি, ভিডিওও করে । এরপর সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ধর্ষিতাকে ধর্ম পরিবর্তন করে নিকাহের জন্য চাপ দেয় ।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, মেহমুদ তাকে জোর করে গোমাংস খেতে দেয় এবং অন্য লোকজনকে ডেকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। মাহমুদ খান তাকে নিজের ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের শিকার বানায় । গত ২৫ নভেম্বর কোনো রকমে সে পালিয়ে যায়।
রবিবার (৫ জানুয়ারি, ২০২৫) অভিযুক্ত মাহমুদ খান মেয়েটিকে আবার ফোন করে। মাহমুদ খান ডেকে কুপ্রস্তাব দেয় । সে রাজি না হলে তাকে মারধর করে এবং তাকে মাদক মেশানো চা পান করাতে চেষ্টা করে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মাহমুদ খানকে হেফাজতে নিয়েছে দিল্লির কোতোয়ালি নগর থানা পুলিশ।
থানার ইনচার্জ পরিদর্শক নারদমুনি সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেলিং এবং ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মাহমুদ খানের গ্রেপ্তার আম আদমি পার্টির ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দিয়েছে। এই বিষয়টি দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের নির্বাচনী এলাকা সুলতানপুরের, যা এটিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।।