এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৩ জুন : নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানা এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহর পাড়া থানা এলাকার ভিন ধর্মী এক যুবকের বিরুদ্ধে । দীর্ঘ প্রায় দুমাস ধরে কিশোরীর কোনো খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার শান্তিপুর থানায় একটু লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ কিশোরীর দাদু । তিনি জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত যুবক হল মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহর পাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রামের বাসিন্দা আফ্রাজুল শেখের ছেলে পিয়ারুল শেখ ওরফে রকি শেখ । তবে পুলিশের উপর কিশোরীর দাদু সেভাবে ভরসা রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ।
নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা অভিযোগকারী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, কিশোরী তার মেয়ের মেয়ে । গত ২৬ শে এপ্রিল সকাল ১১ টা নাগাদ বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার নাতনি নিখোঁজ হয়ে যায় । তিনি বলেছেন,’দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও আমার নাতনি বাড়ি না ফেরায়, আমার সময় সমস্ত আত্মীয়-স্বজন এবং নাতনির বন্ধুবান্ধবদের কাছে খোঁজ নিই । অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি যে মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহর পাড়ার স্বরূপপুর গ্রামের বাসিন্দা আফ্রাজুল শেখের ছেলে পিয়ারুল শেখ ওরফে রকি নাতনি বাজারে যাওয়ার পথে অনেক প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ফাঁদে ফেলে কোন এক অখ্যাত স্থানে নিয়ে গেছে । বর্তমানে আমার নাতনী কি অবস্থায় আছে জানিনা । আমার নাতনির বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছি । তাই আমার নাতনিকে ফিরে পেতে আমার আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি ।’
আজ শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ও বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর দাদু । জানা গেছে, এর আগেও উধাও হয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী । যদিও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় । সেই ঘটনা প্রসঙ্গে কিশোরী দাদু বলেছেন,’এর আগে আমার নাতনিকে উদ্ধার করে দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু পুলিশ যে কান্ড ঘটিয়েছিল সে কথা আমি আর বলতে চাই না । আমি শুধু চাই আমার নাতনি জীবিত ফিরে আসুক ।’
বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দা নিন্দনীয়। পুলিশ অবিলম্বে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে পকসো আইনে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক ।’ তিনি বলেন,’আমরা মনে করি এটা একটা লাভ জিহাদের ঘটনা। মেয়েটির পরিবার হিন্দু, অবিলম্বে মেয়েটিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘পুলিশের কাছে আমরা দুটো দাবি জানিয়েছি। প্রথমত, অবিলম্বে বৃদ্ধের নাতনিকে ফেরত আনতে হবে । আর দ্বিতীয়তঃ, অপহরণকারী ইসলামিক জিহাদী যুবককে গ্রেফতার করতে হবে । মেয়েটিকে উদ্ধারের পরে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে । পাশাপাশি ওই জিহাদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, পকসো আইনে মামলা দায়ের করতে হবে । অপহরণকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে অন্তত ১২ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক পুলিশ ।’ তিনি বলেন, আমরা চাই না শান্তিপুর ব্লকে আর একটা গয়েশপুর হোক ।’ পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।।

