এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১০ ফেব্রুয়ারী : বছর বাইশের এক তরুণীর বিয়ে ঠিকঠাক করে ফেলেছে পরিবার । বিয়ের কার্ডও ছাপানো হয়ে গেছে । সেই কার্ড নিয়ে রুপশ্রী প্রকল্পের অনুদানের জন্য বিডি অফিসে আবেদন করতে এসেছিলেন তরুনী ও তার মামা । মামা আবেদনপত্র লেখালেখি করার সময় তার ভাগ্নি শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে বেপাত্তা হয়ে যায় । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে । পরিবারের লোকজন বিষয়টি মৌখিকভাবে ভাতার থানায় জানালে বিডিও কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু তরুণীর কোন হদিশ পাওয়া যায়নি । পরিবারে অনুমান যে তাদের মেয়ের সঙ্গে কারোর আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল । নিয়মিত গোপন যোগাযোগও ছিল তাদের । তাদের মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়েছে বলে মনে করছেন পরিবারের লোকজন ।
জানা গেছে, ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ এলাকায় বাড়ি ওই তরুণীর । একই এলাকার বনপাশে তার মামারবাড়ি । তরুণী কলা বিভাগের স্নাতক । এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক করেছে তার পরিবার । দিন দশেক পর তার বিয়ে । সেই কারণে রাজ্য সরকারের রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা অনুদানের সুবিধা নিতে শুক্রবার ভাগ্নীকে সঙ্গে নিয়ে ভাতার বিডিও অফিস আবেদন করতে এসেছিলেন তরুণীর মামা ।
তরুনীর মামার কথায়,’আমি তখন আবেদনপত্র পূরণের কাজ করছি । সেই সময় আমার ভাগ্নি এসে তার কাছে থাকা একটা ব্যাগ আমাকে ধরিয়ে দিয়ে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যায় । দীর্ঘক্ষণ ভাগ্নি না ফেরায় আমি খোঁজাখুঁজি শুরু করি । কিন্তু তার কোন সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি আমি আমার বোন এবং ভগ্নিপতিকে জানাই ।’
জানা গেছে,তরুণী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে তার পরিবারের লোকজন ভাতারে ছুটে আসেন । তারাও কিছুক্ষণ ভাতার বাজার এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু মেয়েটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি । শেষে তারা ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন । এরপর পুলিশ তাদের বিডিও অফিসে নিয়ে এসে সিসিটিভি পরিচালকের অফিসে গিয়ে টিভি স্ক্রীনে সামনে পুরনো ফুটেজ দেখানোর ব্যবস্থা করে । কিন্তু তরুণীর কোন হদিস পাওয়া যায়নি । ফলে তাদের হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় । যদিও এই বিষয়ে তারা থানায় লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু বিডি অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে ওই তরুণী কিভাবে এবং কোথায় পালালো না এখনো রহস্য রয়ে গেছে ।।