প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ জুলাই : ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক মহিলাকে কেরলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা ও তাঁর টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক। ধৃতের নাম মুস্তাফা চৌধুরি। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রামের মাঠপাড়ায় তার বাড়ি। বর্ধমান আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে মেমারি থানার পুলিশ সোমবার সকালে মেমারি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিন ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি মেমারি থানার কেজা গ্রামে। সেখানে মামার বাড়িতে থেকে মহিলা পড়াশুনা করেন।মহিলার শ্বশুর বাড়ি মেমারির আউশা গ্রামে। তাঁর একটি কন্যা সন্তানও আছে। কর্মসূত্রে মহিলার স্বামী বাইরে থাকেন। কিছুদিন আগে এক বান্ধবীর মাধ্যমে মহিলার সঙ্গে মোস্তাফার পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা ও হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং শুরু হয়। মোস্তাফা মহিলাকে কেরলে নিয়ে গিয়ে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তবে, কন্যাসন্তানকে সেখানে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে মহিলাকে জানায় মোস্তাফা। যদিও তাতে রাজি হননি মহিলা। তিনি কন্যাসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জেদ ধরেন। কিছুদিন আগে মহিলাকে তাঁর কন্যাসন্তান সহ কেরলে নিয়ে যায় মোস্তাফা। অভিযোগ ,সেখানে মহিলাকে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে তোলে মোস্তাফা । হোটেলেই মহিলাকে ধর্ষণ করে মোস্তাফা। এমনই কি মোস্তাফা ওই মহিলার নগ্ন ছবিও তুলে রাখে। মহিলা ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় সামাজিক মাধ্যমে তাঁর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এরপর মহিলার কাছ থেকে সে ৪৫ হাজার টাকা ও ৩ ভরি সোনার গয়না মোস্তাফা হাতিয়ে নেয়।এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মহিলা স্থানীয় স্টেশনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেখানকার এক ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করে ট্রেনে চাপিয়ে দেন।
কেরল থেকে বাংলায় ফিরে মহিলা গোটা ঘটনার কথা মহিলা মেমারি থানায় জানান। কিন্তু থানা ব্যবস্থা না নেওয়ায় মহিলা বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। সিজেএম কেস রুজু করে মেমারি থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।শেষমেষ মেমারি থানা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।।