এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোপালগঞ্জ(বিহার),১৮ মার্চ : বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে মানবতাকে লজ্জিত করার মত একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা সামনে আসছে ।বাড়ির পোষ্য গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে মাঠে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮০ বছর বয়স্কা এক দলিত বৃদ্ধা ৷ বৃদ্ধার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে মোহাম্মদ সৈয়দ আলীর আলীর ছেলে ছোটে আলম(২৪) নামে এক নরপশু । তাকে সাহায্য করে আরও ২ মুসলিম যুবক । তারা বৃদ্ধার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং মারধরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায় ওই ৩ নরপশু । এই ঘটনায় গোপালগঞ্জের বাকুর্থপুর থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা বৃদ্ধার ছেলে । তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৫/০৩/২৫ ০/৫ ১২৬(২)/১১৫(২)/৭০/৩৮১(৩) সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।
অভিযোগে নির্যাততা বৃদ্ধার ছেলে পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার(১৪ মার্চ) বিকাল ৪:৩০ মিনিটে, আমার মা মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন । সেই সময় আমাদের গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে ছোটে আলম, তার সাথে থাকা দুই ছেলেকে নিয়ে আমার মায়ের পিছু নেয় । তারা মাকে পিছন থেকে পিছন থেকে জাপটে ধরে মুখ বেঁধে, খারাপ কাজ করে এবং নির্মমভাবে মারধর করে এবং বাড়িতে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তার আরও অভিযোগ, আমার মা আজ আমাদের এই পুরো ঘটনাটি বলেছিলেন এবং আমরা সৈয়দ আলীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাই । তখন সৈয়দ আলী(বাবা মরহুম মোলাজিম মিঞা), বাবুদিন (বাবা- সৈয়দ আলী), সাহাবুদিন( বাবা সৈয়দ আলী), সাদম (বাবা-সৈয়দ আলী), হাসমত( বাবা-সৈয়দ আলী) এবং জুমাদিন (বাবা-সৈয়দ আলী) মিলে বলে যে ‘এই জারজ চামার হয়ে আমাদের দরজায় এসে অভিযোগ জানাতে এসেছিস ? পালিয়ে যা, নাহলে এই চামার শিয়াল, জারজরা তোদের মেরে ফেলব’ । জানা গেছে, নির্যাতিতা বৃদ্ধা দীর্ঘক্ষণ মাঠে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন । পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । পরে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারী মাসে বিহারের সীতাপুরে এক হিন্দু বিধবা মহিলাকে কয়েকজন মুসলিম গনধর্ষণ করলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । গত ১৫ মার্চ হিন্দি সংবাদপত্র জাগরণের এই ঘটনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাড়িতে একা ঘুমাচ্ছিলেন এক বিধবা মহিলা । তাকে খাটের সাথে বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে গণধর্ষণ করা হয়। কোনওভাবে, মহিলাটি যুবকদের খপ্পর থেকে পালাতে সক্ষম হন এবং কিছু দূরে বসবাসকারী তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানান, যার পরে পুলিশ আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ঘটনার পর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রকাশ কুমার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মহিলা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে বিধবা তার বাড়িতে একা ছিলেন এবং গণধর্ষণের অভিযোগে মানপুর পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে, একই গ্রামের আরিফ, কিতাবু এবং কাদির বাড়িতে প্রবেশ করে। মহিলাকে বিছানার সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং তার মুখে একটি কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিল। এরপর তিনজনই তাকে ধর্ষণ করে। কোনওভাবে অভিযুক্তের কবল থেকে পালিয়ে এসে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানান মহিলা। পুলিশ ভুক্তভোগীকে বিশ্বন কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়,সেখান থেকে তাকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। জেলা মহিলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, ভুক্তভোগীর শরীরের অনেক জায়গায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
বলা হচ্ছে যে অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ধর্ষণের সময় ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে, তারা তাদের দাঁত দিয়ে মহিলা ঠোঁট এবং শরীর কামড়ে দেয়, যার ফলে ভুক্তভোগী রক্তে ভেসে যায়। বিষয়টি দুটি সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত। মানপুর থানার প্রধান দিলীপ কুমার চৌবে বলেন, গ্রামে শান্তি বিরাজ করছে। মানপুরের পাশাপাশি,রেউসা, সাকরান এবং বিসাওয়ান থানার পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ভুক্তভোগী খাইরাবাদে বিয়ে হয়েছিল । প্রায় সাত বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর, সে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। ভুক্তভোগীর দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য কাজের কারণে বাইরে থাকেন।।