এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২০ মে : ফার্মাসিস্টের শংসাপত্র জাল করে চার জেলায় ৪ পৃথক ওষুধের দোকানে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম প্রদীপ কুমার দাস । পুর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় তাঁর বাড়ি । বুধবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে তলব করা হয়েছিল । ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকদের জেরার মুখে ওই ফার্মাসিস্ট ভেঙে পড়েন । শেষে সে নিজের সমস্ত অপরাধের কথা কবুল করে । বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । শুক্রবার ধৃতকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ ।
জানা গেছে,বাঁকুড়ার ইন্দাসের এক ব্যাক্তি খুচরো ওষুধ দোকান খোলার জন্য সম্প্রতি বাঁকুড়ার ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন । নিয়ম অনুযায়ী আবেদনপত্রে ফার্মাসিস্টের নাম ও লাইসেন্স নম্বর উল্লেখ করতে হয় । আর ওই ব্যক্তি আবেদনপত্রে প্রদীপ কুমার দাসের নাম ও তাঁর ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স নম্বর দিয়েছিলেন ।
বাঁকুড়া ডিভিশনাল ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক জয়ন্ত চৌধুরী বলেন,’আমরা প্রদীপ কুমার দাসের ফার্মাসিস্ট শংসাপত্র ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে দেখি তিনি অন্য জেলার ওষুধের দোকানের সাথেও যুক্ত রয়েছেন । একটি ফার্মাসিস্টের একটি দোকানেই কাজ করার নিয়ম । কিন্তু আমরা জানতে পারি উনি দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম ও পুর্ব বর্ধমান জেলার ওষুধের দোকানের সাথেও যুক্ত । আশ্চর্যের বিষয় হল ওই যুবক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও ভুল তথ্য দিয়ে এভিডেভিড জমা দিয়েছেন । এই বিষয়টিও পুলিশকে জানিয়েছি ।’
জয়ন্তবাবু বলেন, ‘তদন্তে আমরা জানতে পারি ওই যুবক একাধিক ভূয়ো ফার্মাসিস্ট শংসাপত্র তৈরি করেছেন । আমাদের অনুমান এর পিছনে একটা বড়সড় চক্র আছে । আমরা জানতে পেরেছি মালদার শামসুল হক নামে এক ব্যক্তি এই চক্রে যুক্ত আছেন । তার বিষয়ে পুলিশকে সবিস্তারে জানিয়েছি ।’ পাশাপাশি তিনি জানান,ধৃত যুবকের কাছ থেকে তিনটি শংসাপত্র উদ্ধার হয়েছে । দুটি শংসাপত্রে দু’রকম ঠিকানার উল্লেখ আছে । একটিতে আছে হুগলির ঠিকানা,অন্যটিতে রয়েছে বর্ধমানের কালনার ঠিকানা । ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসিস্ট কাউন্সিলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন ওনারা তদন্ত করে দেখুন ওই যুবক আদপেই ফার্মাসিস্ট কিনা । পাশাপাশি এই চক্রটিকে চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে,ঘটনার তদন্ত চলছে ।।