দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ মার্চ : উত্তরপ্রদেশ থেকে উদ্ধার হল ১২ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের এক যুবক । যুবকের নাম শ্যামসুন্দর সেনগুপ্ত । কেতুগ্রাম থানার পাণ্ডুগ্রামে তাঁর বাড়ি । দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময় পর হঠাৎ ছেলেকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা যুবকের মা গৌরী সেনগুপ্ত(৩১) । শনিবার তিনি ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে কেতুগ্রাম থানার পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন । কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পলি দাস নামে এক এনজিওর কর্মীকেও । কারন পলিদেবীর মাধ্যমে ওই যুবকের হদিশ পায় পুলিশ ।
জানা গেছে,গৌরী সেনগুপ্তর দুই ছেলে । ছোট শ্যামসুন্দর । ছোট ছেলের বয়স যখন মাত্র ৬ বছর তখন তাঁর স্বামী পার্থ সেনগুপ্ত মারা যান । পারিবারিক অভাবের কারনেই কৈশোর বয়সেই কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়তে হয়েছিল শ্যামসুন্দর ও তাঁর দাদাকে । শ্যামসুন্দরের যখন ১৯ বছর বয়স তখন তিনি কাজ খুঁজতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান । আর তিনি বাড়ি ফেরেননি । কেতুগ্রাম থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরিও করেছিলেন গৌরীদেবী । কিন্তু পুলিশও তাঁর কোনও সন্ধান পায়নি । সম্পতি পুলিশ জানতে পারে উত্তরপ্রদেশের লক্ষৌ শহরে একটি মনরোগ চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক ।
কিন্তু পুলিশ কিভাবে হদিশ পেলো ওই যুবকের ? পুলিশ জানিয়েছে,পলি দাস নামে এক এনজিওর কর্মীকে কেতুগ্রাম থানায় বিষয়টি জানান । পলিদেবী কেরালার ওই এনজিওতে কাজ করেন । কর্মসুত্রে তিনি লক্ষৌ শহরের ওই মেন্টাল হাসপাতালে গিয়েছিলেন । তখন তিনি জানতে পারেন এক বাঙালী যুবক হাসপাতালে ভর্তি আছেন । নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারছেন না । কিছু জিজ্ঞাসা করলেই কেবল ‘কেতুগ্রাম’ বলছেন ।
কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। কৌশিক বসাক জানিয়েছেন,ওই মহিলার নিজেই গত ১ মার্চ কেতুগ্রাম থানায় যোগাযোগ করেছিলেন । তাঁর পাঠানো ছবি কেতুগ্রাম এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় । তা দেখে যুবকের মা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন । তারপর কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একটি দল লক্ষৌ থেকে যুবককে উদ্ধার করে আনে । কিন্তু কিভাবে যুবকের মানসিক অসুস্থতার লক্ষ্মণ দেখা দিল তা জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ।।