এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালয়েশিয়া,১৬ আগস্ট : কলেজে পড়াশোনার সঙ্গে এক সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুনী । কিন্তু এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেননি তরুনীর কোটিপতি বাবা । মেয়ের সামনে তিনি দুটি শর্ত রাখেন পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি । সেই দুটি শর্তের মধ্যে একটি হল, প্রেমিককে পরিত্যাগ করে পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যাও । নচেৎ, টাকার মায়া ত্যাগ করে চিরতরে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাও । আশ্চর্যজনক ভাবে দ্বিতীয় বিকল্পটিই বেছে নিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস(Angeline Francis) নামে ওই মালয়েশিয়ান তরুনী । এখন অ্যাঞ্জেলিনের এই প্রেমকাহিনী চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
মালয়েশিয়ার বিজনেস টাইকুন খু কে পেং ( Khoo Kay Peng) এবং প্রাক্তন মিস মালয়েশিয়া পলিন চায়ের (Pauline Chai) কন্যা অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সঙ্গে জেদিয়াহ ফ্রান্সিসের (Jediah Francis) প্রেমে পড়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিন । কিন্তু তাদের প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিনের বাবা,কারন জেদিয়াহর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না । এই কারনে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি । কিন্তু কিছুতেই তিনি সফল হচ্ছিলেন না । শেষ পর্যন্ত মেয়েকে আল্টিমেটাম দেন খু কে পেং । তিনি মেয়েকে সাফ জানিয়ে দেন যে হয় প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পদের মায়া ত্যাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাও । শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলিন তার বাবার আর্থিক উত্তরাধিকার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে, সম্পদের চেয়ে প্রেমকেই অগ্রাধিকার দেন ।
জানা যায়, অ্যাঞ্জেলিন এবং জেদিয়া ২০০৮ সালে বিয়ে করেন । তারপর বাড়ি থেকে বহু দূরে অখ্যাত এক জায়গায় গিয়ে সংসার গড়েন ওই দম্পতি । প্রেমের জন্য পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত ৩০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২,৪৮৪ কোটি টাকার মায়া চিরতরে ত্যাগ করেন অ্যাঞ্জেলিন । কিন্তু বিয়ের পর অ্যাঞ্জেলিন আরও একবার তার বাবা-মায়ের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিলেন । তার বাবা-মা বিবাহ বিচ্ছেদ করেন এবং অ্যাঞ্জেলিনকে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল । আদালতে তিনি তার মাকে সমর্থন করেছিলেন এবং তার অতুলনীয় অবদানের কথা বলেছিলেন যা পরিবারকে দীর্ঘকাল ধরে একসাথে রাখতে সহায়ক হয়েছিল । তবে তিনি আরও জানান যে তার বাবাকে অর্থ উপার্জনের জন্য দূরে যেতে হয়, তাই তিনি চান ফের একদিন তার বাবা-মা মিলিত হবেন ।।