এইদিন ওয়েবডেস্ক,মানিকচক(মালদা),২৬ সেপ্টেম্বর : মুক ও বধির এক যুবতীকে ধর্ষণ করে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার মানিকচক থানা এলাকায় । নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানায় ধৃতের নাম মজিফুল শেখ । তার বাড়ি মানিকচক থানার নুরপুর গ্রামে । অন্যদিকে নির্যাতিতা যুবতী গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
জানা গেছে,নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই মুক ও বধির যুবতীর বাবা-মা মারা গেছেন । তিনি দাদার আশ্রয়ে থাকেন । খেতমজুরির কাজ করে নিজের খরচ খরচা চালান । প্রতিদিনের মত শনিবার দুপুরেও তিনি চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন । কিন্তু তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে । কিন্তু তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি । এরপর যুবতী রাত্রি ৮ টা নাগাদ অর্ধনগ্ন অবস্থায় নিজেই বাড়িতে ফেরেন । বাড়ির লোকজন প্রশ্ন করতেই তিনি ইসারায় ঘটনার বিবরণ দেন ।
জানা গেছে,যুবতীর গুরুতর জখম অবস্থায় থাকায় পরিবারের লোকজন তাঁকে তড়িঘড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন । তারপর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মজিফুল শেখের বিরুদ্ধে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগ দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
জানা গেছে,প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবতীকে ধর্ষণ করার পর তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করে মজিফুল । তার এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে অজ্ঞান হয়ে যান নির্যাতিতা । যুবতী মারা গেছেন মনে করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় ধর্ষণকারী মজিফুল শেখ । পরে যুবতীর জ্ঞান ফিরলে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনার কথা জানালে ওই যুবকের কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে । অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে । ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে রবিবার মালদা জেলা আদালতে তোলে মানিকচক থানা পুলিশ ।
নির্যাতিতার পরিবার ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইতিপূর্বেও ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেছিল মজিফুল । তার জেরে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন নির্যাতিতা । পরে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় । কিন্তু মেয়েটির পরিবার হতদরিদ্র হওয়ার কারনে ভয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেনি । আপস মিমাংসা করে নেওয়া হয় । এরপর ফের ওই যুবকের লালসার শিকার হলেন ওই প্রতিবন্ধী যুবতী । স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ।।