এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেলজিয়াম,২১ আগস্ট : চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জির সঙ্গে দর্শনার্থী এক মহিলার মধ্যে গড়ে উঠেছিল গভীর প্রেমের সম্পর্ক । মহিলাকে দেখলেই ফ্লাইং কিস দিত শিম্পাঞ্জি । পালটা চুম্বন ছুড়ে দিতেন মহিলা । তারপর এক মানবী ও এক মানবেতর প্রাণীর মধ্যে চলত চোখে চোখে প্রেম বিনিময় । এদিকে এই প্রেমের কারনে নিজের গোষ্ঠী থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল ‘চিটা'(Chita) নামে বছর ৩৮-এর ওই পুরুষ শিম্পাঞ্জিটি । অ্যাডি টিমারম্যানস (Adie Timmermans) নামে মধ্য বয়স্ক ওই মহিলার দেখা না পাওয়া পর্যন্ত মনমরা হয়ে বসে থাকতো সে । তাই শিম্পাঞ্জিটির নিজস্ব ধর্ম ফিরিয়ে দিতে মহিলার চিড়িয়াখানায় আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্তৃপক্ষ । ঘটনাটি বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প চিড়িয়াখানার (Antwerp Zoo) । মহিলা এবং শিম্পাঞ্জির মধ্যে অদ্ভুদ এই প্রেমকাহিনী ঝড় তুলেছে দেশ জুড়ে ।
বিগত চার বছর ধরে অ্যান্টওয়ার্প চিড়িয়াখানায় যাতায়াত করছিলেন অ্যাডি টিমারম্যানস । তখন থেকেই শুরু মন দেওয়া নেওয়ার পালা । টিমারম্যানস বলেন,’আমরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম । আমি প্রাণীটিকে ভালবাসি, সেও আমাকে ভালবাসে । আমি ওর সামনে গেলেই কাচের ঘরের অন্য প্রান্ত থেকে আমায় ফ্লাইং কিস দিত । দোল খেতো ।’ তিনি আফসোস করে বলেন, ‘এখন থেকে আমি ওর সামনে যেতে পারবো না । অথচ অন্য দর্শনার্থীদের যেতে দেওয়া হবে । কেন আমার ভালোবাসা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ? আমি কি নিয়ে থাকবো এখন ?’
জানা গেছে,চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ মহিলাকে শিম্পাঞ্জিটির সামনে নিষেধ করলে তিনি যুক্তি দেখান তাঁকে যেতে না দেওয়া হলে বিচলিত হয়ে পড়বে তাঁর শিম্পাঞ্জি প্রেমিক । এনিয়ে অনেক অনুনয় বিনয়ও করে ওই মহিলা । কিন্তু চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষকে কিছুতেই তিনি রাজি করাতে পারেননি । চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের যুক্তি,শিম্পাঞ্জিটি ওই মহিলার প্রতি খুব বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছিল । চিটা যখন তাঁর সাথে ব্যস্ত থাতো, তখন অন্যান্য বানররা তাকে উপেক্ষা করত । তাকে দলের সদস্য হিসাবে বিবেচনাই করছিল না । পরিদর্শন সময় শেষ হলে একা একাই বসে থাকছিল চিটা । আমরা চাই চিতা যতটা সম্ভব শিম্পাঞ্জি হোক । সর্বদা খুশি থাকুক । তাই মহিলার প্রতি তার আগ্রহ কমিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ।’।