এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ মে : চোখের সামনে বছর বাইশের এক তরুনীকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া কাটোয়া পুরসভার এক অস্থায়ী সাফাইকর্মী । কালবিলম্ব না করে তিনিও নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন । সৌভাগ্যক্রমে সন্দীপ ঘোষ নামে ওই অস্থায়ী সাফাইকর্মী স্রোতের টানে তলিয়ে যাওয়া তরুনীকে নাগালের মধ্যে পেয়ে যান এবং তাকে টেনে পাড়ে তোলেন ৷ সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে একটা তরতাজা প্রাণকে বাঁচানোর দৃশ্য দেখলেন সেই সময় গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া গুটিকয়েক মানুষ । তারা সন্দীপবাবুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ।
জানা গেছে,আজ শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ সন্দীপবাবু ভাগীরথীর বাজারের ঘাটের কাছে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন । সেই সময় শালোয়ার কামিজ পরা ওই তরুনীকে তিনি উদভ্রান্তের মত নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন । তখন তেমন লোকজনও ছিল না নদীর ঘাটে । এদিকে তরুনীর চালচলনে সন্দেহ হয় সন্দীপবাবুর । তরুনী আত্মহত্যা করে পারে বুঝতে পেরে মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলেন তিনি । তারই মাঝে তরুনী হঠাৎ নদীর জলে ঝাঁপ দিলে সন্দীপবাবুও ঝাঁপিয়ে পড়েন । এদিকে তরুনী প্রথমে ওড়নাটি নদীর জলে ভাসিয়ে দেন এবং ধীরে ধীরে গভীর জলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন । যদিও সন্দীপবাবু তাকে ধরে ফেলেন এবং টেনে নদীর পাড়ে তোলেন । এরপর ফুলবিক্রেতা দুজন মহিলা এসে তরুনীর শুশ্রূষা করেন । পরে কাটোয়া থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।
তবে অনেক জিজ্ঞাসাবাদেও তরুনী তার নাম ঠিকানা বলেননি । পুলিশ তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে । অনুমান যে মানসিক অবসাদে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই অজ্ঞাতপরিচয় তরুনী ।।