এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্থান,১২ সেপ্টেম্বর : ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্থান । লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন । কোনো উঁচু জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে কাটছে তাদের অভুক্ত জীবন । এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্থানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কুচি জেলার জালাল খান গ্রামের একটি মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে বন্যা দূর্গতদের জন্য । প্রাণ বাঁচাতে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে তিন শতাধিক মানুষ । আশ্রিতদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম পরিবার রয়েছে । পাকিস্থান জুড়ে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়েও জালাল খান গ্রামের হিন্দুরা এভাবে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,কুচি জেলার জালাল খান গ্রামটির তিন দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে নারি, বোলান এবং লাহিরি নদী । সাম্প্রতিক বন্যার কারনে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে । ফলে পুরো প্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গ্রামটি । আকস্মিক বন্যার কারনে গ্রামের লোকজন বেড়িয়ে আসতে পারেনি । এদিকে ঘরবাড়িও ভেসে গেছে । এই পরিস্থিতিতে বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বাবা মাধোদাস মন্দিরের দরজা ।
জানা গেছে,এই মন্দিরটি সাধক বাবা মাধোদাস তৈরি করেছিলেন । আর অনেকটা উঁচু জায়গায় মন্দিরটি নির্মিত হওয়ায় বন্যার জল মন্দির প্রাঙ্গন পর্যন্ত পৌঁছায়নি । শতাধিক ঘর রয়েছে মন্দিরের । সব ঘর গ্রামের বন্যা দূর্গতদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাবা মাধোদাস মন্দিরের দায়িত্বে থাকা রতন কুমার । মানুষের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের গবাদি পশুদেরও মন্দিরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
জানা গেছে,বন্যার শুরুর দিকে হেলিকপ্টার থেকে খাদ্য সামগ্রী ফেলা হচ্ছিল । বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে । এখন মন্দিরে মজুত চাল, ডাল দিয়ে প্রায় ৩০০ জন মানুষের প্রতিদিনের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে ।।
ছবি : সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া ।