এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমেঠি,০৪ অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে দুই শিশুসন্তানসহ এক শিক্ষক দম্পতিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে । নিহতরা হলেন সুনীল ভারতী,তার স্ত্রী পুনম ভারতী এবং তাদের ৮ ও ২ বছরের মেয়ে । বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের ভাড়া ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় । এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ কী বা কতজন হামলাকারী ছিল এবং কীভাবে তারা বাড়িতে প্রবেশ করেছিল তা এখনই পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে ব্যক্তিগত শত্রুতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ।
জানা গেছে,মৃত শিক্ষকের সুনীল ভারতী দলিত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন । তিনি শিবরতনগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রীর পুনম ভারতীও শিক্ষকতা করতেন । পরিবারটি মূলত রায়বেরেলি জেলার বাসিন্দা। আগে তারা সেখানেই থাকতেন । কয়েক মাস আগে, বায়োমেট্রিক উপস্থিতির ব্যবস্থা করার পরে, তারা শিবরতনগঞ্জ থানা এলাকার অহরওয়া ভাওয়ানি মোড়ের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনায় ডাকাতির কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানতে পেরেছে যে ১৮ আগস্ট চন্দন ভার্মা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি/হামলা/হত্যার হুমকি এবং এসসি-এসটি আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিলেন সুনীল ভারতী । এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই মামলার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন । এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন তিনি । লখনউ জোনের এডিজি শিরদকর এবং অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সহ সমস্ত সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক আমেঠি পৌঁছেছেন ।।