প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ মে : মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে না হতেই অঘটন । রেজাল্ট আশানুরূপ না হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বৃহস্পতিবার ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পাঁচঘড়া মোড় এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম পৌলমী ঘোষ। কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী বালিকা বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় ৫৭৩ নম্বর পেয়েছিল পৌলমী । আর এদিন মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হওয়ার পর পৌলমী জানতে পারে তাঁর প্রাপ্ত নাম্বার ৪১৩ হয়েছে।এতেই হতাশ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। বাড়ির একটি ঘরেই গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে পৌলমী ঝুলে পড়ে জীবনটা শেষ করেদেয়। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের কিছু সময়ের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এমন অকাল প্রয়ানে পরিবার পরিজনের মতোই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষিকারা।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল এদিন প্রকাশ হওয়ার সময় পৌলমীর বাবা তাঁর ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে ঘরথেকে বেরিয়ে ছিলেন। অঙ্গনওয়াড়ির কাজের জন্যে মাও বাড়ির বাইরে ছিলেন। পরিবারের দাবি সেই সময়েই পৌলমী অঘটন ঘটিয়ে বসে। ফল প্রকাশের কিছুক্ষণ পর পৌলমের বাবা তার ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেই ঘরের মধ্যে পৌলমীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ।তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয় নি চিকিৎসকেরা পৌলমী ঘোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
স্কুলের বন্ধুদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, পৌলমী ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। টেস্টে ভালো ফল করার পর মাধ্যমিকে আরও ভালো ফলের আশা ছিল পৌলমীর। কিন্তু তা না হয়ে নম্বর কম হয়ে যাওয়ায় পৌলমী হতাশ হয়ে পড়ে । বন্ধুরা এও জানায়,তাদের স্কুলের অনেক ছাত্রীদের নম্বর তুলনামূলক কম এসেছে। শুধুতাই নয়, দুর্গাদাসী চৌধুরানী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি গত বছর মাধ্যমিকের প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।কিন্তু এবছর এই স্কুলের কোন ছাত্রীই কৃতিদের তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি। কেন এমনটা হল ,তার উত্তরই এখন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা হাতরে বেড়াচ্ছেন।।