এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৬ অক্টোবর : গ্রামের অদূরব কাঁদরে গুগুলি ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক আদিবাসী ছাত্রী । সেই সময় স্থানীয় এক যুবক তাকে তুলে জঙ্গলের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । যদিও মেয়েটি যুবকের হাতের আঙুলে কামড় বসিয়ে দিলে যুবক তাকে ছেড়ে দেয় । এরপর কিশোরী নিজের সম্ভ্রম বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে । ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার চন্ডীপুর এলাকায় । পরিবারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম মুসিবুল শেখ । তার বাড়ি চন্ডীপুর গ্রামে ।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার(২৪ অক্টোবর) । ওইদিন আরও এক শিশুকন্যাকে সাথে নিয়ে গ্রামের পাশে কাঁদরে গুগলি ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই আদিবাসী ছাত্রীটি । ভুক্তভোগী ছাত্রীর ঠাকুমা ময়না সোরেনের কথায়, খয়েরবনি চন্ডীপুর মাঠের কাঁদরে গুগলি ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল আমার নাতনি । নাতনির সঙ্গে আরও একটা বাচ্ছা মেয়ে ছিল । তারা দু’জনে যখন গুগলি ও কাঁকড়া ধরছিল, সেই সময় চন্ডীপুরের মুসিবুল শেখ সেখানে যায়৷ সে আমার নাতনিকে প্রলোভন দেখায় যে একটু পাশেই অনেক গুগলি ও কাঁকড়া আছে । নাতনি তার কথায় বিশ্বাস করে কাঁদর থেকে উঠে এলে মুসিবুল শেখ তাকে জাপটে ধরে পাশের একটা ঝোপের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । নাতনির সঙ্গে থাকা বাচ্ছা মেয়েটা চিৎকার করতে করতে পালিয়ে আসে । এদিকে আমার নাতনিও চিৎকার করলে মুসিবুল তার একটা হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে । সেই সময় আমার নাতনি তার হাতের আঙুলে সজোরে কামড় বসালে মুসিবুল তাকে ছেড়ে দেয় । এরপর আমার নাতনি সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে আসে ।’
জানা গেছে,শনিবার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা কিশোরীকে সাথে নিয়ে নলহাটি থানায় এসে অভিযোগ জানায় । তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত মুসিবুল শেখ নামে ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার পরিজন ও গ্রামবাসীরা ৷।

