প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ সেপ্টেম্বর : বাবা এলাকার বিশ্বকর্মা পুজো ঘুরিয়ে দেখাতে নিয়ে যায় নি। সেই অভিমানে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ছেলে।মৃতের নাম অংশু দাস(১২)।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কালেখাঁতলার নন্দীপাড়ায়। অভিমান করে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে বসায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন অংশুর বাবা-মা।পুজোর আনন্দের মাঝে এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নাবালক অংশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
পরিবার পরিজন ও স্থানীদের কথায় জানা গিয়েছে, অংশুর বাবা প্রাণকৃষ্ণ দাসের একটি সাইকেল সারানোর দোকান রয়েছে কালেখাঁতলা বাজারে। প্রাণকৃষ্ণবাবু সেখানে ছোট খাটো করে বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন করেন। বাবার দোকানে পুজো হবে বলে অংশু বুধবার সকালে থেকে দোকান পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায়।পুজো থাকায় অংশুদের বাড়িতে কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও এসে পৌছায়। পূজারী পুজো করে চলে যাওয়ার পর ওইদিন বিকেলে আত্মীয়র ছেলে মেয়েদের বাইকে চাপিয়ে প্রাণকৃষ্ণবাবু এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যান।
ওই সময় অংশু খেলা করছিল। খেলে তারপর ঠাকুর দেখতে যাবে বলে জানালে তাকে আর তাঁর বাবা সেইসময় নিয়ে যাননি। পরে অংশুকে তার বাবা যেতে বললেও অংশুর আর যায়নি। তার মা সন্ধ্যা বেলায় স্বামীর দোকানে যান । পরিবারের দাবি,ওইসময় মনমরা হয়ে অংশু বাড়িতেই ছিল। দোকানের ঠাকুর দেখে আত্মীয়দের নিয়ে অংশুর মা পরে বাড়িতে পৌছান । ঘরে ঢুকেই তিনি গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় অংশুকে ঝুলতে দেখেন ।
পরিবারের লোকজন এদিন জানান,অংশু বাড়িতে স্নান-খাওয়াও করেছে। কিসের জন্য তার এত অভিমান হল, কেন যে এতবড় সিদ্ধান্ত নিল,কিছুই আমরা বুঝতে পারছি না ।’ যদিও ভাস্কর দাস নামে অংশুর এক আত্মীয় বলেন,’বাড়িতে আসা অংশুর মাসিও মামার ছেলেদের ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলেও অংশুকে নিয়ে না যাওয়ার অভিমান থেকেই অংশু এমনটা করেছে বলে মনে হচ্ছে।’।