দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৪ জুলাই : পরীক্ষায় ফেল করার আশঙ্কায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র । যদিও রামপ্রসাদ দাস(১৩) নামে ওই ছাত্রকে তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাণে বেঁচে যায় । বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা স্থিতিশীল । হাসপাতালের বেডে শুয়ে রামপ্রসাদ বলে, ‘আজ সোমবার আমাদের স্কুলে শারীরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষা ছিল । কিন্তু আমি স্কুলের ইউনিফর্ম ফুলপ্যান্ট ও শার্ট পড়ে গিয়েছিলাম । পরে অবশ্য বন্ধুদের পরামর্শে বাড়িতে প্যান্ট পাল্টাতেও গিয়েছিলাম । কিন্তু হাফপ্যান্ট খুঁজে পাইনি । তাই ফেল করার ভয়ে আমি বিষ খেয়েছিলাম ।’
জানা গেছে,কাটোয়া থানার কোশিগ্রামের বাসিন্দা মিঠুন দাস ও সোনালী দাসের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট রামপ্রসাদ । দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । কোশিগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রামপ্রসাদ । মিঠুন দাস জনমজুরির কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার খরচ চালান ।
মিঠুনবাবু বলেন, ‘আজ ছেলের শারীরশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল । নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া দাওয়ার পর স্কুল চলে যায় । প্রতিদিনের মত স্কুলের ইউনিফর্ম পড়ে গিয়েছিল । এদিন পঞ্চমীর পুজোর জন্য উপবাস থাকায় আমি বাড়িতেই ছিলাম ।’ তিনি বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ছেলে ফের বাড়ি ফিরে আসে । ওর মা’কে একটা হাফপ্যান্ট দেওয়ার জন্য বলে । কিন্তু হাফপ্যান্ট না পেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় । তার অল্প কিছু সময় পরেই স্কুল থেকে খবর আসে ছেলে বিষ খেয়েছে ।’
জানা গেছে,দ্বিতীয়বার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার পর বিষপান করে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের পিছনে একটি গাছের তলায় বসে বমি করছিল রামপ্রসাদ । সৌভাগ্যক্রমে তার কয়েকজন সঙ্গীসাথীর নজরে পড়ে যায় । তারাই ছুটে স্কুলে এসে শিক্ষকদের ঘটনার কথা বলে । এরপর রামপ্রসাদের বাড়িতে খবর দিয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।।