এইদিন ওয়েবডেস্ক,দুবাই,১৬ জানুয়ারী : টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত বিরোধী প্রচার করতে দেখা গেছে কোনো কোনো ভারতীয় নাগরিককে । চীন,পাকিস্তানের মত শত্রু দেশগুলিকে সমর্থন করতে গিয়ে তারা নিজের দেশেরই বিরোধিতায় সরব হয়েছেন অনেক সময় । কিন্তু তারা গনতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে রেহাই পেয়ে যান বা যাচ্ছেন । কিন্তু সৌদি আরবে রাষ্ট্রবিরোধিতা মূলক প্রচারের পরিণতি কি হতে পারে তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন আওয়াদ আল- কুরনি নামে এক সংস্কারবাদী অধ্যাপক । সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ খবর প্রচারের অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সালে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স হন । এর পর তিনি দেশে ফেসবুক-টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন । তাঁর নির্দেশে ওই বছর সংস্কারবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয় । আর তখনই। গ্রেফতার করা হয়েছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬৫ বছর বয়সি আইনের অধ্যাপক আওয়াদ আল- কুরনিকে । সৌদির গণমাধ্যমগুলোতে আল- কুরনিকে একজন ‘বিপজ্জনক’ ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে তুলে ধরা হয়। তবে সংস্কারবাদীদের দাবি, আল-কুরনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি । এর আগে টুইটার ব্যবহার করায় দুই মহিলা সালমা আল-শিহাব ও নোরা আল-কাহতানিকে যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬৫ বছর বয়সি আইনের অধ্যাপক আওয়াদ আল-কুরনিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় । আল কুরনির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন তার ছেলে কুরনি-নাসের। গত বছর সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। নাসের এখন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার প্রত্যাশায় আছেন ।।