এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৬ জুন : পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করে ও তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জি জানানো হয়েছে । সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে এই ধরনের লোকদের এক বছরের মধ্যে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয় ।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী সংগীতা চক্রবর্তী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এর আওতায় এই আর্জি দায়ের করেছেন । তিনি মহামান্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেই সমস্ত সরকারি আধিকারিক, পুলিশকর্মী ও সুরক্ষা বাহিনীর লোকদের চিহ্নিত করে জাতীয় সুরক্ষা আইনের (রাশুকা) আওতায় আনা হোক যাদের সঙ্গে এমন মাফিয়াদের যোগাযোগ রয়েছে যাদের সাহায্য নিয়ে ওই বহিরাগতরা ভারতে অবৈধভাবে ঢুকতে পেরেছে।
অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের মাধ্যমে দায়ের করা এই আর্জিতে বলা হয়েছে, এই জাতীয় সরকারী আধিকারিকদের আয় বর্হিভূত সম্পত্তির একশ শতাংশ বাজেয়াপ্ত করা উচিত । এর পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে যে, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আধার, রেশন কার্ড, ভোটার আইডি ইত্যাদি যারা সরবরাহ করেছে ওই সমস্ত সরকারী আধিকারিক, ট্র্যাভেল এজেন্ট এবং অন্যান্য লোকদের বিরুদ্ধে রাশুকা আইন লাগু করা উচিত ।
পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধিতে (আইপিসি) এমন একটি ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে যাতে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের অপরাধকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গন্য করা হয় । আবেদনে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের পরে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা হিন্দু পরিবারগুলির বাড়িতে চড়াও হয়ে লুটপাটের পাশাপাশি মারধরও করেছিল । সেই সঙ্গে অপহরণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল । এমনকি বাড়িতে আগুন ধরিয়েও দেওয়া হয়েছিল আবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে ।
দাখিল করা আর্জিতে দাবি করা হয়েছে সেই সমস্ত হিন্দু পরিবারগুলিকে নিশানা করা হয়েছে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল । কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উদ্ধৃতও করা হয়েছে । সেই সঙ্গে আইন কমিশনের ১৭৫-তম প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে,অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা গণতন্ত্র এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ । ওই রিপোর্টে বিশেষ করে ভারতের পূর্ব ভাগ ও জম্মু ও কাশ্মীরের অনুপ্রেবেশকারীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।।
ছবি : সৌজন্যে গুগুল ।