এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিশাখাপত্তনম,১৬ ফেব্রুয়ারী : চার্চের মধ্যে ১৭ জন মহিলা ও ৭ জন কিশোরকে আটকে রেখে বিগত ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যাজকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলার পায়াকারাওপেতায় (Payakaraopeta) । অভিযোগ, বছর বিয়াল্লিশের আম্বাতি অনিল কুমার ওরফে প্রেমা দাস(Ambati Anil Kumar alias Prema Das) নামে ওই যাজক মহিলা ও কিশোরদের সঙ্গে কৃতদাসের মত আচরন করত । নিজের কুকীর্তির কথা বাইরে ফাঁস করে দিলে ‘ভয়ানক পরিণতির’ হুমকি দিত । কিন্তু গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক নির্যাতিতা কোনও রকমে চার্চের বাইরে বেড়িয়ে এসে তিনি সোজা পায়াকারাওপেতা থানার দ্বারস্থ হন । অভিযোগ পেতেই গুনধর যাজকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এছাড়া যাজকের এই ঘৃণ্য কাজে পূর্ব গোদাবরী জেলার রাজেশ্বরী ওরফে লিলি নামে এক মহিলা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে খবর । পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে । পুলিশ চার্চের ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে এবং মোট ৩০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও মহিলাকে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,কৃষ্ণা জেলার(Krishna district)
বিজয়ওয়াড়ার(Vijayawada) কৃষ্ণলঙ্কার (Krishnalanka) এলাকার বাসিন্দা আম্বাতি অনিল কুমার ওরফে প্রেমা দাস । তিনি রেলে টিটিই (TTE)
হিসেবে কাজ করতেন । ২০১৫ সালে ‘প্রেমা স্বরূপি মন্ত্রণালয়’ নামে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন প্রেমা দাস । খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে রেলের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দেন । এরপর নিজের স্ত্রী সন্তানদের ফেলে রেখে পায়াকারাওপেতায় চলে এসে ঠেক করেন । একটি দ্বিতল ভবনে গির্জা স্থাপন করেন । বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৭ জন মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে গির্জায় এনে রাখেন । তারপর থেকে সে বিগত প্রায় চার বছর ধরে ওই মহিলদের পালা করে ধর্ষণ করতে শুরু করে । এছাড়া সাতজন কিশোরকেও চার্চে জোরপূর্বক রাখা হয় । তাদের মূলত দাস হিসেবে কাজ কাজে লাগানো হয় । তার পাশাপাশি বিকৃতকাম যাজক ওই কিশোরদেরও যৌন শোষণ করত বলে অভিযোগ ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে,অনিল কুমারের একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল । ওই চ্যানেলের মাধ্যমে দারিদ্র, বেকারত্ব,রোগমুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে সে মানুষদের আকৃষ্ট করত । এভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করছিল যাজক রূপী অনিল কুমার । আর তার এই প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে যান ঈস্বর বিশ্বাসী ওই ১৭ জন মহিলা ও কিশোরদের বাবা-মা ।
বিশাখাপত্তনম জেলার অতিরিক্ত এসপি ডি মণিকান্ত বলেন, ‘পায়াকারাওপেতার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে । নির্যাতিতাদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আনাকাপল্লে (Anakapalle) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে।’।