জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কলকাতা,০৭ মার্চ : গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। অতীতের মত এবছরও প্রতিদিনই বিভিন্ন সাহিত্যগোষ্ঠী হাজির হচ্ছে প্রবীণ-নবীন কবি প্রতিভা সৃষ্ট তাদের কাব্যসম্ভার নিয়ে। প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন কাব্য গ্রন্থ। কাব্যপিপাসু পাঠকের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে নতুন নতুন কবি প্রতিভার । তারা স্বাদ পাচ্ছে ভিন্ন স্বাদের নতুন ঘরানার ।
গত ২ মার্চ ঠিক এরকমই একটি নতুন ঘরানার সঙ্গে পরিচয় ঘটে পাঠকের । আনন্দ প্রকাশনের স্টল এর বাইরে বইমেলা প্রাঙ্গনে ‘সংশপ্তক’ পত্রিকা গোষ্ঠীর সৌজন্যে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন হল “আবারও অন্তারম্ভ” কবিতা সংকলনের। সংকলনটির সম্পাদক শোভন ব্যানার্জ্জীর কাছে জানা গেল – সংকলনটির প্রতিটি কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো – পূর্ববর্তী লাইনের শেষ শব্দটি হলো পরবর্তী লাইনের প্রথম শব্দ ।
সংকলনটির প্রচ্ছদ এঁকেছে বিশিষ্ট শিশু শিল্পী স্রোতস্বিনী ভট্টাচার্য। ব্যাক কভার সজ্জিত হয়েছে চারজন সুপরিচিত শিল্পী মৈত্রেয়ী দত্ত, মহুয়া বাসু, মধুমিতা দাস ও তানিয়া আচারিয়ার তুলিতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ রায়, অজিতেশ নাগ, জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ প্রকাশনের কর্ণধার শ্রী নিগমানন্দ মণ্ডল, প্রবীর চৌধুরী, মহেন্দ্র মুর্মু, শ্রীমতী কৃষ্ণা চক্রবর্তী, শিপ্রা কর্মকার, শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য, রীনা মুখার্জী গাঙ্গুলী, সমর্পিতা রাহা, ঝুমা মল্লিক, মৌমিতা মুখার্জী, তপন দে, বন্দনা দাশ, তপন কুমার চট্টোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে ছিলেন পিয়ালি ভট্টাচার্য, অনন্যা গাঙ্গুলী, নিবেদিতা হাজরা, বিপ্লব পাইন প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রতিটি অতিথিকে বরণ করে নেওয়া হয়। সন্মানিত করা হয় প্রচ্ছদ ও ব্যাক কভারের শিল্পীদের। এছাড়া অনুষ্ঠানে “অন্তারম্ভ সাথি” সন্মান প্রদান করা হয় অন্য চারটি গ্রুপের পরিচালকমণ্ডলীকে ।
প্রবীণ-নবীন প্রতিভার উপস্থিতিতে গমগম করে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনটি। স্বরচিত কবিতা পাঠ, কাব্য আলোচনায় সমৃদ্ধ হন উপস্থিত ব্যক্তিরা। ‘অন্তারম্ভ’ কাব্যের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন অনেকেই এবং তারা নবীন প্রতিভাদের কাছে নতুন ঘরানা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার আহ্বান জানান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক শোভন ব্যানার্জ্জী । শোভন বাবু বলেন,’চেষ্টা করতে করতে একদিন হয়তো বেরিয়ে আসবে আরও নিত্য নতুন ঘরানা । তাতে একইসঙ্গে বাংলা সাহিত্য জগত ও কাব্যরসিক পাঠক সমৃদ্ধ হবে ।’।