এইদিন ওয়েবডেস্ক,কায়মকুলাম,২০ জুন : হিন্দু যুবকের সাথে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে চাওয়া মুসলিম তরুনীকে মন্দির থেকে তুলে নিয়ে গেল কেরালার বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ । তরুনীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । এমনকি তরুনীর প্রেমিক ওই হিন্দু যুবককেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুন কেরালার কায়মকুলামে । সেকুলারিজমের বুলি আওড়ানো কেরালার কমিউনিস্ট সরকারের কদর্য তোষামোদের নীতি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ফের একবার প্রকাশ্যে এল ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কায়মকুলামের বাসিন্দা আলফিয়ার সঙ্গে কোভালামের কেএস রোডের বাসিন্দা অখিল নামে এক হিন্দু যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । শেষ পর্যন্ত তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন । আলফিয়া গত শুক্রবার (৯ জুন ২০২৩) অখিলের সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোভালামে আসেন । এর পরের শুক্রবার (১৬ জুন ২০২৩) রাতে আলফিয়ার পরিবার ও অখিলের পরিবার কোভালাম থানার ওয়ার্ড মেম্বার ও এসআই-এর সাথে দেখা করে এবং আলফিয়াকে অখিলের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় । দুই পরিবারই বিয়েতে সম্মতি দেয় ৷ রবিবার (১৮ জুন ২০২৩) বিকাল ৫ টায় কোভালামের কেএস রোডের মালাভিলা পানমুটের শ্রী মদন তাম্পুরান মন্দিরে হিন্দু রীতি অনুসারে এই জুটি গাঁটছড়া বাঁধবেনর বলে ঠিক হয় । তারা যথা সময়ে মন্দিরে পৌঁছেও যান । কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে কেয়ামকুলাম শহরের পুলিশ দুটি গাড়িতে করে মন্দিরে গিয়ে আলফিয়াকে টানতে টানতে নিয়ে চলে যায় । ভাইরাল ভিডিওতে ওই তরুনীকে চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে শোনা গেছে । বরকেও ধাক্কা দেওয়া হয় এবং কনের কাছে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,পরে আলফিয়াকে আদালতে তোলা হয় এবং তার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় । তরুনী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন যে তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন এবং অখিলকে বিয়ে করতে চান। পরের দিন মহিলা মিডিয়াকে বলেছিলেন,’পুলিশ আমার বক্তব্য রেকর্ড করার পরে, আমাকে অখিলের সাথে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাই আমরা মন্দিরে বিয়ে করতে গিয়েছিলাম । তারপরও পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং অখিলকে মারধর করে ।’
আলফিয়ার অভিযোগ,’বিয়ের দিনের ঠিক আগেই আমার বাবা-মা কায়মকুলাম থানায় একটা নিখোঁজ ডাইরি করেছিল । তারা চায় না আমি অখিলকে বিয়ে করি । আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে যেতে চায় ।’ যদিও কেরালা পুলিশ মিডিয়াকে জানিয়েছে যে আদালতের নির্দেশে তরুনী তার প্রেমিকের কাছে ফিরে গেছে ৷।