এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমেঠি(উত্তরপ্রদেশ),০৮ আগস্ট : হিন্দু ছেলের সাথে প্রেম করার অপরাধে মুসলিম তরুনীকে পিটিয়ে মারল তার বাবা ও দাদা । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আমেঠির পিপারপুর থানার অন্তর্গত টিকাওয়ার এলাকার । মৃতার নাম আফরিন (২০) । ঘাতক বাবা নিয়ামতুল্লাহ ও দাদা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০৪ (অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের জন্য) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ধামৌর বাজারের শ্রী হুনমন্ত ইন্টার কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন আফরিন । সেই সূত্রে সহপাঠী ধম্মৌর থানা এলাকার বাসিন্দা সর্বেশ শর্মার সাথে তার পরিচয় ও প্রেম হয় । কিন্তু তাদের প্রেমের কথা কোনো ভাবে জেনে যায় আফরিনের বাবা ও দাদা । গত শুক্রবার (৪ আগস্ট, ২০২৩) আফরিন যথারীতি স্কুলে গিয়েছিল । স্কুলে প্রেমিক সর্বেশের সঙ্গে দেখা হলে তারা একসাথে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । ইতিমধ্যে স্থানীয় এক মুসলিম ব্যক্তি আফরিনের বাবা নিয়ামতুল্লাহকে ফোনে বিষয়টি জানায় । খবর পেয়ে ছেলে হায়দারের মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থলে আসে নিয়ামতুল্লাহ । তারা দু’জন মিলে আফরিনকে বাজারের মাঝখানে বেধড়ক মারধর করে । আফরিনকে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ।
জানা গেছে,তরুনীকে মারধর করতে দেখে কেউ স্থানীয় ধম্মঘর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । এরপর পুলিশ আফরিন ও তার বাবা- দাদাকে থানায় নিয়ে যায় । কিন্তু আফরিন কোনো অজ্ঞাত আশঙ্কায় তার বাবা ও দাদার সাথে যেতে রাজি হয়নি । শেষের আফরিনের মা থানায় এলে পুলিশ তরুনীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠায় । আর বাড়ি ফেরার পরের দিনেই আফরিনের মৃত্যু হয় । শনিবার সকালে তরুনীর মৃতদেহ কবরস্থ করা হয় । পরে ভাইরাল ভিডিও পিপারপুর থানার পুলিশের নজরে পড়লে আমেঠির জেলাশাসকের অনুমতি ক্রমে মৃতদেহটি কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।
মৃতার পরিবারের দাবি, আফরিন অসুস্থতার কারনে মারা গেছে । যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান,ওই তরুনীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার বাবা ও দাদা নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।।