এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২১ জুলাই : অর্থাভাব নাকি বিকৃত কাম ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ইন্ডিয়ানার মরগান স্ট্যাপ (Morgan Stapp) নামে ৩২ বছর বয়সী এক মহিলার একটি নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের এই সমস্ত প্রশ্ন হাতড়াচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা । সাত সন্তানের জননী মরগান তার মাত্র ৭ মাস বয়সী শিশুকন্যাকে একজন পুরুষদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল ৪০০ ডলারের বিনিময়ে । কিন্তু কেন ? কারন শুনলে যেকোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মধ্যে তীব্র ঘৃণার উদ্রেগ হবে । আসলে,ওই নরাধম মহিলা অর্থের বিনিময়ে নিজের সাত মাসের শিশুকন্যার সাথে তার পুরুষ বন্ধুকে যৌন নির্যাতনের অনুমতি দিয়েছিল।
যে ব্যক্তির হাতে নিজের শিশুকন্যাকে মরগান স্ট্যাপ অর্থের বিনিময়ে তুলে দিতে চেয়েছিল সে হল তার স্ন্যাপচ্যাটের বন্ধু । স্ট্যাপ তার শিশু কন্যার বেশ কয়েকটি নগ্ন ছবি পাঠিয়ে মেসেজ করেছিল,’তুমি ৪০০ ডলারের বিনিময়ে তাকে যৌন নির্যাতন করতে পারো। এখন অর্ধেক, পরে বাকিটা । আমি আমার ঠিকানা পাঠাবো, আমি একা থাকি এবং তার বাবা ছবিতে নেই।”(“U can f*** her for $400. Half now, rest after. I’ll send my address I do live alone and her dad is not in the picture) ।
কিভাবে প্রকাশ্যে এল একজন মায়ের এই প্রকার কদর্য মানসিকতা ?
আসলে স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ এই বার্তাটি সম্পর্কে এফবিআইকে জানিয়েছিল। দিন ১০ পরে, এফবিআই এজেন্টরা মরগান স্ট্যাপের বাড়িতে পৌঁছেছিল । স্ট্যাপ এজেন্টদের কাছে দাবি করে যে তার স্ন্যাপচ্যাট “হ্যাকড” হয়েছে এবং সে একটি নতুন ফোন কিনেছে। হলফনামায় বলা হয়েছে যে সে শিশু পরিষেবা বিভাগের একজন কেসওয়ার্কারের কাছেও দাবি করেছে যে অভিযোগ সত্য নয়। কিন্তু এফবিআই এজেন্টরা তদন্তে জানতে পারে যে গত বছরের ২৯শে অক্টোবর থেকে ১লা নভেম্বরের মধ্যে অন্তত ৭,০০০ এরও বেশি বার্তা পাঠানো হয়েছে। তার মেয়েদের অশ্লীল ছবিও পাঠায় সে । মরগান স্ট্যাপকে গত ৮ জুলাই মেরিয়ন কাউন্টি জেলে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাকে ১,০০,০০০ ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।।

