প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ আগষ্ট : নিকৃষ্টতম ঘটনা বললেও কম হবে । খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতো সৎ বাবা। তবে অবশ্য তিনি পার পাননি।পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশ নাবালিকার সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতের নাম জয়দেব দাস । তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপর থানা এলাকায়। ধর্ষণ ও পকসো অ্যাক্টে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।অভিযুক্ত জয়দেব দাসের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন নাবালিকার পরিজন ও কালনাবাসী ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর পনের বয়সী নির্যাতিতার বাড়ি কালনার বাগনাপাড়া এলাকায়।মায়ের অনুপস্থিতিতে খুনের হুমকি দিয়ে ওই নাবালিকাকে লাগাতার তাঁর সৎ বাবা জয়দেব দাস দিনের পর দিন ধর্ষণ করতো।এমনকি এই ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্যেও জয়দেব
ওই নাবালিকাকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ । সৎ বাবার যৌন নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা শুক্রবার তাঁর পরিজনদের ঘটনার কথা জানায় । এরপরেই নাবালিকার পরিবার কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে । তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে,অভিযুক্ত জয়দেবের নিজের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা এলাকায় । সে রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করে । বাড়িতে তাঁর আগের পক্ষের স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে । নাবালিকার মাও কলকাতার বড়বাজারে মাঝে মধ্যেই কাজে যায় । তিনবছর আগে নাবালিকার মায়ের জয়দেবের সম্পর্ক তৈরি হয় । সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে নাবালিকার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় জয়দেব।এর পরেই প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে নাবালিকার মা ফের জয়দেবকে বিয়ে করেন ।তারপর থেকে ছয়মাস হল কালনার বাগনাপাড়ায় একটি ঘরভাড়া নিয়ে নাবালিকা, নাবালিকার মা ও সৎ বাবা থাকছিলেন।বিভিন্ন কাজে নাবালিকার মা বাড়ি থেকে বাইরে গেলেই নাবালিকা তাঁর সৎ বাবার যৌন লালসার শিকার হত। প্রায় তিনমাস ধরে চলা এই ঘটনাকে চাপা দিতে সৎবাবা তার মেয়েকে প্রাণে মারার হুমকি দিত।সেই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতো নাবালিকা। শুক্রবার নাবালিকার মা ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ।।