এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০২ জুন : জামাইষষ্ঠীর আগেই বাপেরবাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী নাবালিকা বধূ । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার নাসিগ্রামে। মৃতার নাম মমতা মাজি। কিন্তু ঠিক কি কারণে ওই কিশোরী আত্মঘাতী হল তা ধোঁয়াশায় সকলে ।
জানা গেছে,নাসিগ্রামের বাসিন্দা গৌতম মাজি ও পুতুল মাজির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মমতা ছিল সবার বড় । গতবছর মাধ্যমিক পাশ করেছিল মমতা। মাস দেড়েক আগে ভাতার থানার রাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা রতন গড়াইয়ের ছেলে বাবু গড়াইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল । রতনবাবু ও তাঁর ছেলে বাবু দুজনে মিলে গ্রামেই একটি মিষ্টির দোকান চালান। মমতার ১৮ বছর উত্তীর্ণ হতে আর কয়েকমাস বাকি ছিল ।
রবিবার ছিল জামাইষষ্ঠী। শুক্রবার মমতা শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়ি চলে আসে। তবে তার স্বামী বাবু গড়াইয়ের আসার কথা ছিল জামাইষষ্ঠীর দিন । জানা গেছে,রবিবার নাসিগ্রামে হাট বসে। সকালে গৌতম মাজি ও পুতুল মাজি মিলে হাটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। মমতার বোন ও ভাই বাবা মার সঙ্গে গিয়েছিল । বাড়িতে একাই ছিল মমতা । তারা হাট থেকে বাজারর থলি হাতে বাড়ি ফিরে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন । তবে কয়েকবার ডেকেও সাড়া পাননি । এরপর ঘরে ঢুকতেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মমতাকে ঝুলন্তবস্থায় দেখেন তারা । সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ।
এদিকে আত্মহত্যার কারন খুঁজে পাচ্ছেন না মৃতার বাপেরবড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন । মৃতার স্বামী বাবু গড়াই বলেন,’বিয়ের পর থেকে খুব হাসিখুশিতেই কাটাচ্ছিল মমতা । সবাইকে নিজের করে নিয়েছিল। কিন্তু কেন এমন করল কিছুই বুঝতে পারছি না।’ অন্যদিকে মৃতার মা পুতুল মাজি বলেছেন,’সকালে উঠে মেয়ে সবার জন্য চা তৈরি করে। জামাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কখন নাসিগ্রামে আসবে জানতে চেয়েছিল। মেয়ের সঙ্গে কারও কোনও ঝগড়া হয়নি। ওর মন খারাপের কিছু বোঝাও যায়নি। কিন্তু এমনটা কেন করল বুঝতেই পারছি না।’।

