এইদিন ওয়েবডেস্ক,রংপুর(বাংলাদেশ),১৬ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ইউনিয়নের হীলি (মিয়াপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি তাহিরুল ইসলাম ওরফে দুখু মিয়া (৪২) ছিলেন বিয়ে পাগল ব্যক্তি । রাজমিস্ত্রী পেশার সুবাদে বহু মহিলার সাথে পরিচয় হয় তাহিরুলের । মিষ্টি কথা বলে তাদের মধ্যে অনেককে প্রেমের জালে ফাঁসাতে সক্ষমও হয়েছিল । কৈশোর থেকেই মেয়েদের প্রতি রফিকুল ইসলামের ছেলে তাহিরুলের নারী সঙ্গের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল বলে জানা গেছে । যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে একের পর এক নিকাহ করে এবং মাস খানেকের মধ্যে তাদের তালাকও দিয়ে দিত । শেষ পর্যন্ত দুই বউয়ে ঠেকেছিল তাহিরুলের ৷ বউদের নিয়ে থাকছিলেন এক ছাদের নিচে ।
কিন্তু তাহিরুলের দুই বউয়ের মধ্যে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছিল না ৷ প্রতিদিন কার্যত নিয়ম করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হত । সোমবারও (১৫ সেপ্টেম্বর) তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় । তখন বাড়িতেই ছিলেন তাহিরুল ইসলাম । এদিকে দুই বউয়ের মধ্যে ঝগড়ায় সে এতটাই তিতিবিরক্ত হয়ে যায় যে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটা দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে ৷ এদিকে তখনো তার দুই বউয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া চলছিল । পরে যখন তারা তাদের স্বামীর খোঁজ শুরু করে, তার আগেই সব শেষ ।
জানা যায়, মিস্ত্রী পেশার কারণে তাহিরুল একাধিক বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে তার দুই বউকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কিন্তু বউদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ ও অশান্তি লেগেই থাকত। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবারে অভাব-অনটন । দিন দিন পরিবারে অশান্তি ও আর্থিক সংকট বেড়েই চলছিল। এসব কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাহিরুল । বউদের নিত্যনৈমিত্তিক ঝগড়া থেকে মুক্তি পেতে নেশা করতে শুরু করেছিলেন তিনি । প্রায়ই গাঁজায় নেশায় চুর হয়ে থাকতে দেখা যেত তাকে । সোমবারও গাঁজা সেবন করে বাড়িতে ভোম হয়ে বসেছিলেন তাহিরুল ইসলাম । কিন্তু দুই বউয়ের মধ্যে ঝগড়া ও চুলোচুলি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তাহিরুলের নেশা কেটে যায় । এরপর সে গোয়াল থেকে ছাগল বাঁধার একটা দড়ি এনে সোজা নিজের শোবার ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে । জানা গেছে,দুই স্ত্রী থেকে বেশ কয়েকটা নাবালক সন্তান রয়েছে তাহিরুলের । এখন তার মৃত্যুতে গোটা পরিবার কার্যত পথে বসেছে ।।