এইদিন ওয়েবডেস্ক,দেরাদুন,১৬ ডিসেম্বর : উত্তরাখণ্ডেরের দেরাদুনের একটি মন্দিরে প্রস্রাব করার পর পাথর ছুড়ে ভাঙচুরের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল । পরে জানা যায় যে ঘটনাটি ঘটেছিল দেরাদুনে হাররাওয়ালা মা কালী মন্দিরে । ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,ওই ঘটনায় সাদ্দাম নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্যাটেল এলাকার মেহুনওয়ালা নয়া নগরের বাসিন্দা সাদ্দাম আরিফ আলীর ছেলে। বুধবার (১৩ নভেম্বর, ২০২৩) ধৃতকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে সাদ্দাম মানসিকভাবে অসুস্থ এবং সে দেরাদুনের সেলাকি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
এই বিষয়ে এসএসপি অজয় সিং বলেছেন যে একটি মেডিকেল রিপোর্ট এসেছে যে অভিযুক্ত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, কিন্তু তার পরেও সে মন্দিরে এমন কাজ করেছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে । যদিও পরিবারের এই দাবি আসামিকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে । তাদের পালটা দাবি ইতিপূর্বেও মন্দির অপবিত্র করে অনেক আসামির পরিবার তাদের ‘মানসকিভাবে অসুস্থ’ দেখিয়ে রেহাই পেয়ে গেছে । এক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করছে অভিযুক্ত সাদ্দামের পরিবার ।
তথ্য অনুসারে,গত ১২ ডিসেম্বর রাত্রি ১.১৪ নাগাদ দেরাদুন- হরিদ্বার রোডের হাররাওয়ালায় মা কালী মন্দিরের বাইরে একজন ব্যক্তি প্রস্রাব করে। এর পর সে মন্দিরে পাথর ছুড়ে মারে। পাথরের আঘাতে মন্দিরের কাঁচ ভেঙে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে যায় হামলাকারী । আর সমগ্র ঘটনা ধরা পড়ে মন্দিরে লাগানো সিসিটিভিতে । সকালে পুরোহিত মন্দিরে পৌঁছে দেখেন মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। জানা গেছে, এক দাড়িওয়ালা ও মাথায় ইসলামি টুপি পরা এক লোক গভীর রাতে মন্দিরে এসে এই কাজটি করেছে । ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পোস্ট করলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । এরপরের হামলাকারীর সন্ধানে নামে পুলিশ ।।