দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ সেপ্টেম্বর : সড়ক পথের একপাশে গভীর গর্ত । ঠিক তার অন্যপাশে রাখা হয়েছে পাথরের স্তুপ । রাতের অন্ধকারে তার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে পাথরের স্তুপের উপর উঠে যায় একটি ইঁট বোঝাই লরি । তারপর লরিটি পাশের একটি কালকার্টের দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে উলটে যায় । আর এই দূর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ গেল লরির খালাসির । রবিবার রাত্রি প্রায় ১১ টা নাগাদ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বাদশাহী রোডে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কালুত্তক গ্রামের কাছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আলিউজ্জামান শেখ(৩০) । তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর এলাকায় । মঙ্গলবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ । ভাতার থানার ওসি অরুণ কুমার সোম জানিয়েছেন,নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,রবিবার রাতে ইঁটবোঝাই লরিটি বাদশাহী রোড ধরে মঙ্গলকোটের নতুনহাটের দিক থেকে বর্ধমানের মুখে যাচ্ছিল । লরিতে ছিল চালকসহ ৩ জন । কিন্তু কালুত্তক গ্রামের কাছাকাছি আসতেই লরিটি দূর্ঘটনার কবলে পরে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে বাদশাহী রোডের সংস্কার না হওয়ায় বেশ কিছু খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে । আর ওই ওই সমস্ত খানাখন্দ মেরামতির জন্য পাথর কুচি এনে রাখা হয়েছিল । রাস্তার একাংশেই স্তুপ করে রাখা হয়েছে পাথর কুচি । আর রাতের অন্ধকারে সড়ক পথ দিয়ে যাওয়ার সময় খানাখন্দ এড়াতে গিয়ে পাথরের স্তুপ চালকের নজরে না পড়ায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ।
জানা গেছে,লরিটি উলটে যাওয়ার পর চালক ও আরও একজন লরির কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসতে পারলেও ভিতরে আটকে পড়েন আলিউজ্জামান শেখ । তাঁর বুকে গুরুতর আঘাত লাগে । কেবিনের ভিতরেই তিনি অচৈতন্য অবস্থায় আটকে থাকেন । পরে খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীন হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,অবিলম্বে সড়কপথ মেরামতির কাজ শুরু করা হোক । পাশাপাশি দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তা থেকে পাথর কুচি সরিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ।।