এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,১৩ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের হিজবুত, জামাত ইসলামী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি প্রভৃতি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি দেশজুড়ে ব্যাপক ভারতবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে । তাদের সঙ্গে যোগ দিতে আরো কিছু কুখ্যাত ইসলামী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন । সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আদালতের মুসলিম বিচারপতি এবং আইনজীবীরাও পর্যন্ত কার্যত ইসলামিক জঙ্গির ভূমিকা পালন করছে । ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে জামিন পর্যন্ত দিচ্ছে না চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের মুসলিম বিচারক । পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য হিন্দুদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করছে বাংলাদেশি কট্টরপন্থী মুসলিমরা । এদিকে বাংলাদেশী জিহাদি মুসলিমদের এই যুদ্ধ উন্মাদনার ফলাফল কি হবে তা বলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন,সিংহের সঙ্গে কখনো কুকুরের যুদ্ধ হয় না । বাংলাদেশ ভারতের চুরি করে খায় । ভারত বাংলাদেশী হিন্দুদের এদেশে এনে রাখার ক্ষমতা রাখে । কিন্তু এদেশে যে দু’তিন কোটি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মুসলিম আছে তাদের যদি ফেরত পাঠানো হয় তাহলে ওদের কি হবে সেটা ভেবে দেখুন ।
আজ শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাতখামারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি । তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ হলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেবে ভারত৷ পাকিস্তানকে যদি নাকে খত দিতে পারে, ৯০ হাজার সৈন্যকে বন্দী করে আনতে পারে ভারত । বাংলাদেশ তো আমাদের কাছে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমরা তোদের সঙ্গে লড়তে পারি না । কারণ সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই কখনও হয় না । যুদ্ধ যাতে না হয় সেটা যেন বাংলাদেশের লোকেরা বোঝে ।’
উল্লেখ্য,ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছে সেদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি । এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,’আদৌ কোন সামরিক বিভাগ আছে বাংলাদেশের ? কোনদিন বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছে ? ভারতবর্ষ থেকে চুরি করে ওরা খায় । চুরি করে খেয়ে বেঁচে থাকে । আর ভিখারিরা অনেক বড় বড় কথা বলে কিন্তু ফুটপাতেই শুতে হবে ওদেরকে ।’ দিলীপ ঘোষ বলেন,’বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ । আজ আমরা যদি বলি জলটাও বন্ধ করে দিই, বাংলাদেশ বাঁচবে কি ? তাই ওদের কিছু মাথা খারাপ লোক আছে মিডিয়ায় থাকার জন্য এই সমস্ত মন্তব্য করে ।’ তিনি বলেন,’এমন একটা দেশ যেখানে কোন সরকারই নেই । প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও লুট করে নেয় ? পার্লামেন্ট ভবন কেও লুট করে নেয় ? এই হচ্ছে বাংলাদেশের লোক ।
এরা এত অযোগ্য অকর্মা যে না নিজের পেট চালাতে পারে না দেশ চালাতে পারে । এসব লোকের কথায় কোন গুরুত্ব নেই ।,’
তিনি বলেন,’বাংলাদেশকে সিরিয়া বানানোর চক্রান্ত চলছে । জঙ্গি ঢুকে গেছে৷ এখন তোর চট্টগ্রাম বন্দর খুলে দিয়েছে । সন্ত্রাসীরা আসছে পাকিস্তান থেকে । মরবে কে? যে কটা হিন্দু আছে আমরা নিয়ে নেব৷ কোটি কোটি লোককে নিয়েছি আমরা । ওপার বাংলার দু’তিন কোটি হিন্দু এসছেন এবং আমাদের সঙ্গে আছেন ৷ এরপর আরো নয় দু’কোটি চলে আসবে । তারপর বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে? সিরিয়া থেকে ৫০ লক্ষ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে । ওখানে তো কোন হিন্দু নেই । ১ লক্ষ লোককে হত্যা করেছে ওখানকার সরকার । গত ক’দিনের মধ্যে আবার ৫০ হাজার লোক উদ্বাস্ত হয়েছে । দেখে শেখা উচিত । ফাজলামির একটা সীমা থাকে ।’
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করনের কাজ দেশের কিছু রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে । এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,’আসামের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি চালু করে দিয়েছেন । বলছেন আগে পরিচয় পত্র দেখাও । সেরকম ভাবে যদি আমরা গোটা ভারতবর্ষে শুরু করি এবং দু’তিন কোটি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে আমরা যদি পুশ ব্যাক করি তখন ওদের দাঁড়াবার জায়গা থাকবে? ভেবে দেখুন৷’ বাংলাদেশিরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে ডাক দিয়েছে সে বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,’ওরা যদি বলে ভারতের জিনিস নোব না,খাব না তাহলে কদিন বাঁচবে ? ওষুধ যদি ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্ধেক লোক মরে যাবে । এত নার্সিংহোম নাই, হসপিটাল নেই চিকিৎসার জন্য কলকাতায় লাইন দিচ্ছে বাংলাদেশের লোকেরা । ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে কত হাহাকার পড়ে গেছে । এসব লোকের কথায় কোন গুরুত্ব নেই । যারা বিদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের জন্য টাকা নিয়ে খেয়ে বেঁচে আছে, লোকের দয়ায় বেঁচে আছে,এসব লোকের কথার গুরুত্ব কি আছে ?’
তিনি বলেন,’খান সেনা কচুকাটা করে দিত যদি ভারতীয় সেনা না যেত । আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচা করে এবং শত শত সেনার জীবন দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি । ভারত ছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে৷ আর যদি স্বাধীন না হতো তাহলে শিক্ষা দীক্ষা থাকত না গোলাম হয়ে থাকতো৷’
দিলীপ ঘোষ বলেন,’গোটা বিশ্বে ইসলামী মৌলবাদের শিকার হচ্ছে অন্য ধর্মের মানুষরা। যেখানে অন্য ধর্মের লোক নেই সেখানে নিজেদের মধ্যে করছে খুনোখনি করছে৷ আফগানিস্তান দেখুন, সিরিয়া দেখুন, পাকিস্তান দেখুন নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরছে । এই যে হিংসা উন্মাদনা আর মৌলবাদ এতে কি হয়েছে ? গোটা বিশ্বে এতগুলো মুসলিম দেশ আছে সব জায়গায় খুনখুনি চলছে ।’।