এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচি,১৪ নভেম্বর : ৫ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুনের মামলার আসামিকে আজ মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কেরালার একটি আদালত । ২৮ বছর বয়সী ওই ধর্ষকের নাম আসাফাক আলম(Asafaq Alam) । সে বিহারের বাসিন্দা । কোচির আলুভা বাজারে শ্রমিকের কাজ করত ওই যুবক । শিশুটি চলতি বছরের ২৮ জুলাই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় । ওই দিন শিশুটিকে তাদের ভাড়া ঘর থেকে অপহরণের করে নির্মমভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল আসাফাক । একই দিনে পুলিশ অভিযুক্ত আসাফাক আলমকে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেপ্তার করে।
মামলাটিকে ‘বিরলতমের বিরল’ বলে অভিহিত করে, পকসো আদালত জানায় যে দোষী কোনও সহানুভূতির যোগ্য নয়। পরিস্থিতিগত প্রমাণ ছাড়াও, ডিএনএ প্রমাণ এবং অপরাধের প্রকৃতি আদালত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে ।
গত ৪ নভেম্বর, আদালত আলমকে হত্যা, ধর্ষণ ও প্রমাণ নষ্টসহ ১৬টি অপরাধে জন্য দোষী সাব্যস্ত করে । অভিযোগপত্র দাখিলের ২৬ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কাজ শেষ হয় । আজ মঙ্গলবার কেরালার এর্নাকুলাম পকসো আদালতের বিচারক কে সোমান (Ernakulam POCSO Court Judge K Soman) মর্মান্তিক ওই ঘটনার ১০৯ দিনের মধ্যে অপরাধীর সাজা ঘোষণা করেন । প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জি মোহনরাজ।
এদিকে সাজা ঘোষণার পর আনন্দে মেতে ওঠে আলুভা বাজারের বাসিন্দারা । বাজারের শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজন মামলার সাক্ষীও ছিল । তারা বাজারে জড়ো হয়ে মিষ্টি বিতরণ করে বিহারের বাসিন্দা আশফাক আলমের মৃত্যুদণ্ড উদযাপন করে । তাজুদিন(Tajudeen) একজন হেডলোড কর্মী যিনি এই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন,তিনিই মূলত উদযাপনের নেতৃত্ব দেন। মামলার দ্রুত তদন্তের জন্য কেরালা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি রায়কে সকলের জন্য একটি শিক্ষা হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাজুদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ‘এখানে আমরা সবাই দোষীর মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলাম। এমন রায় আসায় আমরা খুশি। এটি কেবল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়, সকলের জন্য একটি শিক্ষা হওয়া উচিত। এই ধরনের অপরাধের অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত ।’
জানা গেছে, অপরাধের দিন তাজুদিন মেয়েটিকে আশফাকের সাথে দেখেছিল এবং মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার টিভি রিপোর্ট থেকে জানতে পেরে সে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। তাজুদিন বলেন, ‘
‘আমি জিজ্ঞাসা করলে আশফাক দাবি করে যে শিশুটি তার মেয়ে এবং সে তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করতে যাচ্ছে ৷ আশফাক মদের নেশায় আসক্ত । তাই সে মদ্যপান করতে যাচ্ছে মনে করে আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিইনি ।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলুভা বাজারের কাছের বর্জ্য ডাম্প ইয়ার্ডটি সাধারণত দুষ্কৃতীরা এবং মদ্যপরা বিকাল ৩টার পর মদ পান করার জন্য ব্যবহার করে । পুলিশ সব জেনেও নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ।।