এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,৩১ জানুয়ারী : বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা ইসলামি মৌলবাদী দলগুলির হাতে আসার পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জীবন চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে । হিন্দুদের অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম সামনে আনছে । যেটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । গত বছরের আগস্ট মাসের পর থেকে একের পর হিন্দু যুবক,শিশু,কিশোরী ও তরুনী আচমকা উধাও হয়ে যাচ্ছে । কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলেরা লাশ হয়ে ফিরছে এবং মেয়েরা অপহৃত ধরে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে বা ধর্মান্তরিত-নিকাহ করছে বাধ্য হচ্ছে । ফের এক হিন্দু যুবক ও এক হিন্দু কিশোরীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ফেসবুক পেজে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,রাজিব চক্রবর্তী নামে এক যুবক গত ২৭ শে জানুয়ারী নিখোঁজ হয়ে গেছেন । তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার, ওয়ান ফার্মা লিঃ কোম্পানীতে মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন৷ ওইদিন জৈন্তাপুর থেকে সিলেটে আসার কথা ছিল তার এবং তিনি সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিলেটে ফিরে আসেননি। মোবাইলও বন্ধ । যুবক জৈন্তাপুর উপজেলার ৯ নম্বর পাইলগাঁও ইউনিয়নের বুধরপুর গ্রামের ভূদেব চক্রবর্তীর ছেলে । যুবকের সন্ধানে পেলে ওই পেজে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।
পাশাপাশি ইতি মোদক নামে ১৪ বছরের এক কিশোরী নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে । বলা হয়েছে,গত ২৫ জানুয়ারী মেয়েটিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না । এক্ষেত্রেও ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে । উল্লেখ্য, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তৃষ্ণা রানী সরকার (১৬) অপহরণের প্রায় ৩ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। দিন কয়েক আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়েকে ফিরে পাবার আকুতি জানিয়েছিলেন কিশোরীর অসহায় পরিবারের সদস্যরা। গত ২৪ জানুৃযারী বিকেলে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফিরে পাবার আকুতি জানান তৃষ্ণার বাবা অসীম চন্দ্র সরকার ও মা বিথি রাণী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তাদের বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের আমলাগাছী গ্রামে। তাদের মেয়ে তৃষ্ণা রাণী স্থানীয় আমলাগাছী দবির উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্রী।
গত বছরের ১১ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেটে যাবার পথে অপহরণকারী দলের সদস্য জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (২৭), আব্দুল গণির ছেলে শিহাব (২৬), খোকা মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২৬) তাদের সহায়তায় তৃষ্ণাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় অপহরণে জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রায় ৩ মাসেও মামলার ২ নম্বর আসামি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের আশঙ্কা অপহরণকারীরা তৃষ্ণা রাণীকে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় মেয়েকে ফিরে পেতে সাহায্য করার জন্য গণমাধ্যমের কাছে আকুল আবেদন জানান তারা ।।