এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৬ আগস্ট : ফের এক ঘাতক মুসলিম দর্জির নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । এবারে পশ্চিম দিল্লির ডাবরি এলাকার দর্জি মহম্মদ সেলিম ২২ বছরের রূপাকে মেরে দেহ বস্তাবন্দি করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয় । হত্যার দুই দিন পর, বস্তার মধ্যে মেয়েটির পচাগলা লাশ উদ্ধার হল রাস্তার পাশে একটি ড্রেন থেকে । ট্যাটু দেখে মৃতদেহটি শনাক্ত করা হয়। তদন্ত করে পুলিশ উত্তর প্রদেশের হরদই থেকে ঘাতক মহম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে ।
জানা গেছে,২৩শে আগস্ট, দুপুর ২.৫৪ মিনিট নাগাদ দিল্লি পুলিশ ডাবরি এলাকার একটি নিকাশি নালায় সন্দেহজনক বস্তাবন্দি কিছু পড়ে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে একটি পিসিআর কল পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তা খুলে মেয়েটির পচাগলা মৃতদেহ দেখতে পায়। একই দিনে, রূপার পরিবার ডাবরি থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে। পুলিশ যখন মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য পরিবারকে ফোন করে, তখন রূপার হাতে থাকা ট্যাটু দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে মেয়েটির মা ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে একটি নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন। মেয়েটির হাতে ট্যাটুর ভিত্তিতে মৃতদেহটি শনাক্ত করা হয়েছিল। মৃতদেহটি ২২ বছর বয়সী রূপা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, সে পরিচারিকার কাজ করত । পরিবার পুলিশকে জানায় যে রূপা ২১ আগস্ট সকাল ১০.৩০ নাগাদ লস্যি আনার কথা বলে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং আর ফিরে আসেনি। পুলিশের মতে, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে তার ফোনে কারও সাথে কথা বলছিল।
পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে। কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হয়েছে। ক্যামেরায়, রূপাকে শেষবার অভিযুক্ত ৩৫ বছর বয়সী সেলিমের সাথে মহাবীর এনক্লেভের একটি ভবনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পর, সেলিম একই ভবন থেকে বেরিয়ে আসে, রূপার লুকানো মৃতদেহও তার হাতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সেলিম মেয়েটির দেহ বাইকে করে নিয়ে গিয়ে লোপাট করতে যাচ্ছিল, কিন্তু পথে বাইক থেকে দেহটি পিছলে পড়ে যায়।তাড়াহুড়ো করে লাশ ড্রেনে ফেলে দেওয়ার পর সেলিম পালিয়ে যায়। পুলিশ ইউপির হরদই থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে, খুনের কারণ টাকার লেনদেন বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেলিম মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে চিনত। সেলিম মেয়েটির কাছে টাকা পাওনা ছিল এবং সে ফেরত চাইছিল। এই বিষয়ে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাগে সেলিম মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর সে মেয়েটির দেহ বাইকে করে নিয়ে গিয়ে ড্রেনে ফেলে দেয় এবং পর ধরা পড়ার ভয়ে সে হরদই পালিয়ে যায়।
পুলিশ অভিযুক্ত সেলিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) প্রাসঙ্গিক ধারায় হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং খুনের সাথে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে আরও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।।