এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরিশাল,২৯ এপ্রিল : বাংলাদেশের বরিশালে ‘লাভ জিহাদের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে । হিন্দু তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করার পর যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় নির্যাতন । শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে ছেড়ে পালিয়ে যায় ‘লাভ জিহাদি’ হেলাল উদ্দিন ফারুক । তারপর তরুনীর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার শর্তে সংসার করার প্রস্তাব দেয় । কিন্তু একজন মুসলিমকে বিয়ে করায় তরুনীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল তার বাবার বাড়ি ৷ শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় চম্পা বেগম নামে ওই মহিলা । রবিবার বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলার শুনানি হয় । অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন ফারুকিকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ।
জানা গেছে, বরিশালের সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ফারুক । কিন্তু সে থাকত নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকায় । ওই এলাকাতেই বাড়ি চম্পা রানীর । চম্পাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হেলাল উদ্দিন । তারপর সে তরুনীকে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করে । চম্পা রানীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চম্পা বেগম। কিন্তু কিছুদিন সহবাস করে যৌতুকের দাবিতে সে চম্পার উপর নির্যাতন শুরু করে । কিন্তু চম্পা যৌতুক আনতে ব্যর্থ হলে স্ত্রূকে ছেড়ে পালিয়ে যায় হেলাল উদ্দিন । স্ত্রীর খরচ খরচা দেওয়া সে বন্ধ করে দেয় । এদিকে বাবার বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন চম্পা মহা অতান্তরে পড়ে যান । তিনি স্বামী হেলাল উদ্দিনকে সংসার করার জন্য অনেক কাকুতি মিনতি করেন । কিন্তু হেলাল উদ্দিন সংসার করার শর্ত হিসাবে স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার প্রস্তাব দেয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের প্রতারিত চম্পা বেগম । আদালতের নির্দেশে লাভ জিহাদি হেলাল উদ্দিন ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ । রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয় । আদালতে হাজির হয়ে অভিযুক্ত জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব মজুমদার।।